Setting
Surah The Star [An-Najm] in Bengali
وَٱلنَّجْمِ إِذَا هَوَىٰ ﴿١﴾
নক্ষত্রের কসম, যখন অস্তমিত হয়।
ভাবো তারকার কথা, যখন তা অস্ত যায়!
مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوَىٰ ﴿٢﴾
তোমাদের সংগী পথভ্রষ্ট হননি এবং বিপথগামীও হননি।
তোমাদের সঙ্গী দোষ-ত্রুটি করেন না, আর তিনি বিপথেও যান না,
وَمَا يَنطِقُ عَنِ ٱلْهَوَىٰٓ ﴿٣﴾
এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।
আর তিনি ইচ্ছামত কোনো কথা বলেন না।
إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْىٌۭ يُوحَىٰ ﴿٤﴾
কোরআন ওহী, যা প্রত্যাদেশ হয়।
এইখানা প্রত্যাদিষ্ট হওয়া প্রত্যাদেশবাণী বৈ তো নয়, --
عَلَّمَهُۥ شَدِيدُ ٱلْقُوَىٰ ﴿٥﴾
তাঁকে শিক্ষা দান করে এক শক্তিশালী ফেরেশতা,
তাঁকে শিখিয়েছেন বিরাট শক্তিমান --
ذُو مِرَّةٍۢ فَٱسْتَوَىٰ ﴿٦﴾
সহজাত শক্তিসম্পন্ন, সে নিজ আকৃতিতে প্রকাশ পেল।
বলবীর্যের অধিকারী। কাজেই তিনি পরিপূর্ণতায় পৌঁছলেন।
ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّىٰ ﴿٨﴾
অতঃপর নিকটবর্তী হল ও ঝুলে গেল।
তারপর তিনি সন্নিকটে এলেন, অতঃপর তিনি অবনত করলেন,
فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَىٰ ﴿٩﴾
তখন দুই ধনুকের ব্যবধান ছিল অথবা আরও কম।
তখন তিনি দুই ধনুকের ব্যবধানে রইলেন, অথবা আরও কাছে।
فَأَوْحَىٰٓ إِلَىٰ عَبْدِهِۦ مَآ أَوْحَىٰ ﴿١٠﴾
তখন আল্লাহ তাঁর দাসের প্রতি যা প্রত্যাদেশ করবার, তা প্রত্যাদেশ করলেন।
তখন তিনি তাঁর বান্দার কাছে প্রত্যাদেশ করলেন যা তিনি প্রত্যাদেশ করেন।
مَا كَذَبَ ٱلْفُؤَادُ مَا رَأَىٰٓ ﴿١١﴾
রসূলের অন্তর মিথ্যা বলেনি যা সে দেখেছে।
হৃদয় অস্বীকার করে নি যা তিনি দেখেছিলেন তাতে।
أَفَتُمَٰرُونَهُۥ عَلَىٰ مَا يَرَىٰ ﴿١٢﴾
তোমরা কি বিষয়ে বিতর্ক করবে যা সে দেখেছে?
তোমরা কি তবে তাঁর সঙ্গে বিতর্ক করবে যা তিনি দেখেছেন সে-সন্বন্ধে?
وَلَقَدْ رَءَاهُ نَزْلَةً أُخْرَىٰ ﴿١٣﴾
নিশ্চয় সে তাকে আরেকবার দেখেছিল,
আর তিনি নিশ্চয়ই তাঁকে দেখেছিলেন অন্য এক অবতরণে --
عِندَ سِدْرَةِ ٱلْمُنتَهَىٰ ﴿١٤﴾
সিদরাতুলমুন্তাহার নিকটে,
দূরদিগন্তের সিদরাহ্-গাছের কাছে,
عِندَهَا جَنَّةُ ٱلْمَأْوَىٰٓ ﴿١٥﴾
যার কাছে অবস্থিত বসবাসের জান্নাত।
তার কাছে আছে চির-উপভোগ্য উদ্যান।
إِذْ يَغْشَى ٱلسِّدْرَةَ مَا يَغْشَىٰ ﴿١٦﴾
যখন বৃক্ষটি দ্বারা আচ্ছন্ন হওয়ার, তদ্দ্বারা আচ্ছন্ন ছিল।
দেখো! যা আচ্ছাদন করে তা ঢেকে দিয়েছিল সিদরাহ্-গাছকে,
مَا زَاغَ ٱلْبَصَرُ وَمَا طَغَىٰ ﴿١٧﴾
তাঁর দৃষ্টিবিভ্রম হয় নি এবং সীমালংঘনও করেনি।
দৃষ্টি বিভ্রান্ত হয় নি এবং তা সীমা ছাড়িয়েও যায় নি।
لَقَدْ رَأَىٰ مِنْ ءَايَٰتِ رَبِّهِ ٱلْكُبْرَىٰٓ ﴿١٨﴾
নিশ্চয় সে তার পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলী অবলোকন করেছে।
তিনি নিশ্চয়ই তাঁর প্রভুর শ্রেষ্ঠ নিদর্শনগুলোর মধ্যে চেয়ে দেখেছিলেন।
أَفَرَءَيْتُمُ ٱللَّٰتَ وَٱلْعُزَّىٰ ﴿١٩﴾
তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও ওযযা সম্পর্কে।
তোমরা কি তবে ভেবে দেখেছ লাত ও 'উযযা,
وَمَنَوٰةَ ٱلثَّالِثَةَ ٱلْأُخْرَىٰٓ ﴿٢٠﴾
এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে?
এবং মানাত, -- তৃতীয় আরেকটি?
أَلَكُمُ ٱلذَّكَرُ وَلَهُ ٱلْأُنثَىٰ ﴿٢١﴾
পুত্র-সন্তান কি তোমাদের জন্যে এবং কন্যা-সন্তান আল্লাহর জন্য?
তোমাদের জন্য পুত্রসন্তান আর তাঁর জন্য কন্যা!
تِلْكَ إِذًۭا قِسْمَةٌۭ ضِيزَىٰٓ ﴿٢٢﴾
এমতাবস্থায় এটা তো হবে খুবই অসংগত বন্টন।
এ তো বড়ই অসংগত বন্টন!
إِنْ هِىَ إِلَّآ أَسْمَآءٌۭ سَمَّيْتُمُوهَآ أَنتُمْ وَءَابَآؤُكُم مَّآ أَنزَلَ ٱللَّهُ بِهَا مِن سُلْطَٰنٍ ۚ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا ٱلظَّنَّ وَمَا تَهْوَى ٱلْأَنفُسُ ۖ وَلَقَدْ جَآءَهُم مِّن رَّبِّهِمُ ٱلْهُدَىٰٓ ﴿٢٣﴾
এগুলো কতগুলো নাম বৈ নয়, যা তোমরা এবং তোমাদের পূর্ব-পুরুষদের রেখেছ। এর সমর্থনে আল্লাহ কোন দলীল নাযিল করেননি। তারা অনুমান এবং প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে। অথচ তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে।
তারা নামাবলী বৈ তো নয়, যা তোমরা নামকরণ করেছ -- তোমরা ও তোমাদের পূর্বপুরুষরা, যাদের জন্য আল্লাহ্ কোনো সনদ পাঠান নি। তারা তো শুধু অনুমানের এবং যা তাদের অন্তর কামনা করে তারই অনুসরণ করে। অথচ তাদের প্রভুর কাছ থেকে তাদের কাছে পথনির্দেশ অবশ্যই এসে গেছে।
أَمْ لِلْإِنسَٰنِ مَا تَمَنَّىٰ ﴿٢٤﴾
মানুষ যা চায়, তাই কি পায়?
অথবা মানুষের জন্য কি তাই থাকবে যা সে কামনা করে?
فَلِلَّهِ ٱلْءَاخِرَةُ وَٱلْأُولَىٰ ﴿٢٥﴾
অতএব, পরবর্তী ও পূর্ববর্তী সব মঙ্গলই আল্লাহর হাতে।
কিন্ত শেষটা তো আল্লাহ্র, আর প্রথমটাও।
۞ وَكَم مِّن مَّلَكٍۢ فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ لَا تُغْنِى شَفَٰعَتُهُمْ شَيْـًٔا إِلَّا مِنۢ بَعْدِ أَن يَأْذَنَ ٱللَّهُ لِمَن يَشَآءُ وَيَرْضَىٰٓ ﴿٢٦﴾
আকাশে অনেক ফেরেশতা রয়েছে। তাদের কোন সুপারিশ ফলপ্রসূ হয় না যতক্ষণ আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা ও যাকে পছন্দ করেন, অনুমতি না দেন।
আর মহাকাশমন্ডলে কত যে ফিরিশ্তা রয়েছে যাদের সুপারিশ কোনো কাজে আসবে না যতক্ষণ না আল্লাহ্ অনুমতি দেন তার জন্য যাকে তিনি ইচ্ছা করেন ও তিনি সন্তষ্ট হয়েছেন।
إِنَّ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱلْءَاخِرَةِ لَيُسَمُّونَ ٱلْمَلَٰٓئِكَةَ تَسْمِيَةَ ٱلْأُنثَىٰ ﴿٢٧﴾
যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তারাই ফেরেশতাকে নারীবাচক নাম দিয়ে থাকে।
নিঃসন্দেহ যারা পরকালে বিশ্বাস করে না তারা ফিরিশ্তাদের নাম দেয় মেয়েদের নামে।
وَمَا لَهُم بِهِۦ مِنْ عِلْمٍ ۖ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا ٱلظَّنَّ ۖ وَإِنَّ ٱلظَّنَّ لَا يُغْنِى مِنَ ٱلْحَقِّ شَيْـًۭٔا ﴿٢٨﴾
অথচ এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। তারা কেবল অনুমানের উপর চলে। অথচ সত্যের ব্যাপারে অনুমান মোটেই ফলপ্রসূ নয়।
আর এ বিষয়ে তাদের কোনো জ্ঞান নেই। তারা তো অনুমানেরই অনুসরণ করছে, আর নিঃসন্দেহ সত্যের বিরুদ্ধে অনুমানে কোনো লাভ হয় না।
فَأَعْرِضْ عَن مَّن تَوَلَّىٰ عَن ذِكْرِنَا وَلَمْ يُرِدْ إِلَّا ٱلْحَيَوٰةَ ٱلدُّنْيَا ﴿٢٩﴾
অতএব যে আমার স্মরণে বিমুখ এবং কেবল পার্থিব জীবনই কামনা করে তার তরফ থেকে আপনি মুখ ফিরিয়ে নিন।
সেজন্য তাকে উপেক্ষা করো যে আমাদের উপদেশ থেকে ফিরে যায় আর দুনিয়ার জীবন ছাড়া আর কিছু চায় না।
ذَٰلِكَ مَبْلَغُهُم مِّنَ ٱلْعِلْمِ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِۦ وَهُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ ٱهْتَدَىٰ ﴿٣٠﴾
তাদের জ্ঞানের পরিধি এ পর্যন্তই। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা ভাল জানেন, কে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন কে সুপথপ্রাপ্ত হয়েছে।
এইটিই তাদের জ্ঞানের শেষসীমা। নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু -- তিনিই ভাল জানেন তাকে যে তার পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে, আর তিনিই ভাল জানেন যে সৎপথপ্রাপ্ত।
وَلِلَّهِ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ لِيَجْزِىَ ٱلَّذِينَ أَسَٰٓـُٔوا۟ بِمَا عَمِلُوا۟ وَيَجْزِىَ ٱلَّذِينَ أَحْسَنُوا۟ بِٱلْحُسْنَى ﴿٣١﴾
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর, যাতে তিনি মন্দকর্মীদেরকে তাদের কর্মের প্রতিফল দেন এবং সৎকর্মীদেরকে দেন ভাল ফল।
আর মহাকাশমন্ডলে যা-কিছু আছে এবং যা-কিছু আছে পৃথিবীতে তা আল্লাহ্রই, যেন যারা মন্দ কাজ করেছে তাদের তিনি প্রতিফল দিতে পারেন যা তারা করেছে সেজন্য, আর যারা সৎকাজ করেছে তাদের তিনি ভালভাবে প্রতিদান দিতে পারেন।
ٱلَّذِينَ يَجْتَنِبُونَ كَبَٰٓئِرَ ٱلْإِثْمِ وَٱلْفَوَٰحِشَ إِلَّا ٱللَّمَمَ ۚ إِنَّ رَبَّكَ وَٰسِعُ ٱلْمَغْفِرَةِ ۚ هُوَ أَعْلَمُ بِكُمْ إِذْ أَنشَأَكُم مِّنَ ٱلْأَرْضِ وَإِذْ أَنتُمْ أَجِنَّةٌۭ فِى بُطُونِ أُمَّهَٰتِكُمْ ۖ فَلَا تُزَكُّوٓا۟ أَنفُسَكُمْ ۖ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ ٱتَّقَىٰٓ ﴿٣٢﴾
যারা বড় বড় গোনাহ ও অশ্লীলকার্য থেকে বেঁচে থাকে ছোটখাট অপরাধ করলেও নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার ক্ষমা সুদূর বিস্তৃত। তিনি তোমাদের সম্পর্কে ভাল জানেন, যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা থেকে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে কচি শিশু ছিলে। অতএব তোমরা আত্নপ্রশংসা করো না। তিনি ভাল জানেন কে সংযমী।
যারা বর্জন করে বড় বড় পাপাচার ও অশ্লীল কাজ -- মুখোমুখি হওয়া ভিন্ন -- তোমার প্রভু পরিত্রাণে নিশ্চয়ই অপরিসীম। তিনি তোমাদের ভালো জানেন যখন থেকে তিনি তোমাদের সৃষ্টির সূচনা করেছেন মাটি থেকে, আর যখন তোমরা ছিলে তোমাদের মায়ের পেটে ভ্রণরূপে। অতএব তোমরা তোমাদের নিজেদের গুণগান করো না। তিনিই ভালো জানেন তাকে যে ধর্মভীরুতা অবলন্বন করে।
أَفَرَءَيْتَ ٱلَّذِى تَوَلَّىٰ ﴿٣٣﴾
আপনি কি তাকে দেখেছেন, যে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
তুমি কি তবে তাকে দেখেছ যে ফিরে যায়,
وَأَعْطَىٰ قَلِيلًۭا وَأَكْدَىٰٓ ﴿٣٤﴾
এবং দেয় সামান্যই ও পাষাণ হয়ে যায়।
আর যৎসামান্য দান করে এবং নির্দয়তা দেখায়?
أَعِندَهُۥ عِلْمُ ٱلْغَيْبِ فَهُوَ يَرَىٰٓ ﴿٣٥﴾
তার কাছে কি অদৃশ্যের জ্ঞান আছে যে, সে দেখে?
তার কাছে কি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে ফলে সে দেখত পাচ্ছে?
أَمْ لَمْ يُنَبَّأْ بِمَا فِى صُحُفِ مُوسَىٰ ﴿٣٦﴾
তাকে কি জানানো হয়নি যা আছে মূসার কিতাবে,
অথবা তাকে কি সংবাদ দেওয়া হয় নি মূসার গ্রন্থে যা আছে সে-সন্বন্ধে,
وَإِبْرَٰهِيمَ ٱلَّذِى وَفَّىٰٓ ﴿٣٧﴾
এবং ইব্রাহীমের কিতাবে, যে তার দায়িত্ব পালন করেছিল?
এবং ইব্রাহীম সন্বন্ধে যিনি সম্পূর্ণরূপে প্রতিপালন করেছিলেন --
أَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٌۭ وِزْرَ أُخْرَىٰ ﴿٣٨﴾
কিতাবে এই আছে যে, কোন ব্যক্তি কারও গোনাহ নিজে বহন করবে না।
যথা কোনো ভারবাহী অন্যের বোঝা বহন করবে না,
وَأَن لَّيْسَ لِلْإِنسَٰنِ إِلَّا مَا سَعَىٰ ﴿٣٩﴾
এবং মানুষ তাই পায়, যা সে করে,
আর এই যে মানুষের জন্য কিছুই থাকবে না যার জন্য সে চেষ্টা না ক’রে,
وَأَنَّ سَعْيَهُۥ سَوْفَ يُرَىٰ ﴿٤٠﴾
তার কর্ম শীঘ্রই দেখা হবে।
আর এই যে, তার প্রচেষ্টা অচিরেই দৃষ্টিগোচর হবে,
ثُمَّ يُجْزَىٰهُ ٱلْجَزَآءَ ٱلْأَوْفَىٰ ﴿٤١﴾
অতঃপর তাকে পূর্ণ প্রতিদান দেয়া হবে।
তারপর তাকে প্রতিদান দেওয়া হবে পরিপূর্ণ প্রতিদানে,
وَأَنَّ إِلَىٰ رَبِّكَ ٱلْمُنتَهَىٰ ﴿٤٢﴾
তোমার পালনকর্তার কাছে সবকিছুর সমাপ্তি,
আর এই যে, তোমার প্রভুর দিকেই হচ্ছে শেষ-সীমা,
وَأَنَّهُۥ هُوَ أَضْحَكَ وَأَبْكَىٰ ﴿٤٣﴾
এবং তিনিই হাসান ও কাঁদান
আর এই যে, তিনিই হাসান আর তিনিই কাঁদান,
وَأَنَّهُۥ هُوَ أَمَاتَ وَأَحْيَا ﴿٤٤﴾
এবং তিনিই মারেন ও বাঁচান,
আর এই যে, তিনিই মারেন ও তিনিই বাঁচান।
وَأَنَّهُۥ خَلَقَ ٱلزَّوْجَيْنِ ٱلذَّكَرَ وَٱلْأُنثَىٰ ﴿٤٥﴾
এবং তিনিই সৃষ্টি করেন যুগল-পুরুষ ও নারী।
আর এই যে, তিনিই সৃষ্টি করেছেন জোড়ায়-জোড়ায় নর ও নারী, --
مِن نُّطْفَةٍ إِذَا تُمْنَىٰ ﴿٤٦﴾
একবিন্দু বীর্য থেকে যখন স্খলিত করা হয়।
শুক্রকীট থেকে যখন তাকে বিন্যাস করা হয়,
وَأَنَّ عَلَيْهِ ٱلنَّشْأَةَ ٱلْأُخْرَىٰ ﴿٤٧﴾
পুনরুত্থানের দায়িত্ব তাঁরই,
আর এই যে, তাঁর উপরেই রয়েছে পুনরায় উত্থানের দায়িত্ব,
وَأَنَّهُۥ هُوَ أَغْنَىٰ وَأَقْنَىٰ ﴿٤٨﴾
এবং তিনিই ধনবান করেন ও সম্পদ দান করেন।
আর এই যে, তিনিই ধনদৌলত দেন ও সুখ-সমৃদ্ধি প্রদান করেন,
وَأَنَّهُۥ هُوَ رَبُّ ٱلشِّعْرَىٰ ﴿٤٩﴾
তিনি শিরা নক্ষত্রের মালিক।
আর এই যে, তিনিই শি'রা নক্ষত্রের প্রভু,
وَأَنَّهُۥٓ أَهْلَكَ عَادًا ٱلْأُولَىٰ ﴿٥٠﴾
তিনিই প্রথম আদ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছেন,
আর এই যে, তিনিই ধ্বংস করেছিলেন প্রাচীনকালের 'আদ-জাতিকে,
وَثَمُودَا۟ فَمَآ أَبْقَىٰ ﴿٥١﴾
এবং সামুদকেও; অতঃপর কাউকে অব্যহতি দেননি।
আর ছামূদ-জাতিও, তাই তিনি বাকী রাখেন নি,
وَقَوْمَ نُوحٍۢ مِّن قَبْلُ ۖ إِنَّهُمْ كَانُوا۟ هُمْ أَظْلَمَ وَأَطْغَىٰ ﴿٥٢﴾
এবং তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায়কে, তারা ছিল আরও জালেম ও অবাধ্য।
আর নূহ-এর লোকদলও এর আগে। নিঃসন্দেহ তারা ছিল -- তারাই তো ছিল অত্যন্ত অত্যাচারী ও বেজায় অবাধ্য।
وَٱلْمُؤْتَفِكَةَ أَهْوَىٰ ﴿٥٣﴾
তিনিই জনপদকে শুন্যে উত্তোলন করে নিক্ষেপ করেছেন।
আর উলটে ফেলা শহরগুলো -- তিনি ধ্বংস করেছিলেন,
فَغَشَّىٰهَا مَا غَشَّىٰ ﴿٥٤﴾
অতঃপর তাকে আচ্ছন্ন করে নেয় যা আচ্ছন্ন করার।
ফলে তাদের তিনি ঢেকে দিয়েছিলেন যা ঢেকে দেয়।
فَبِأَىِّ ءَالَآءِ رَبِّكَ تَتَمَارَىٰ ﴿٥٥﴾
অতঃপর তুমি তোমার পালনকর্তার কোন অনুগ্রহকে মিথ্যা বলবে?
অতএব তোমার প্রভুর কোন অনুগ্রহ সম্পর্কে তুমি বাদানুবাদ করবে?
هَٰذَا نَذِيرٌۭ مِّنَ ٱلنُّذُرِ ٱلْأُولَىٰٓ ﴿٥٦﴾
অতীতের সতর্ককারীদের মধ্যে সে-ও একজন সতর্ককারী।
প্রাচীনকালের সতর্ককারীদের মধ্যে থেকে ইনি হচ্ছেন একজন সতর্ককারী।
لَيْسَ لَهَا مِن دُونِ ٱللَّهِ كَاشِفَةٌ ﴿٥٨﴾
আল্লাহ ব্যতীত কেউ একে প্রকাশ করতে সক্ষম নয়।
এটি দূর করবার মতো আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউ নেই।
أَفَمِنْ هَٰذَا ٱلْحَدِيثِ تَعْجَبُونَ ﴿٥٩﴾
তোমরা কি এই বিষয়ে আশ্চর্যবোধ করছ?
এই বিবৃতিতে তোমরা কি তাজ্জব হচ্ছ?
وَتَضْحَكُونَ وَلَا تَبْكُونَ ﴿٦٠﴾
এবং হাসছ-ক্রন্দন করছ না?
আর তোমরা কি হাসছ, তোমরা কি আর কাঁদবে না?
فَٱسْجُدُوا۟ لِلَّهِ وَٱعْبُدُوا۟ ۩ ﴿٦٢﴾
অতএব আল্লাহকে সেজদা কর এবং তাঁর এবাদত কর।
অতএব আল্লাহ্র প্রতি সিজদা করো এবং উপাসনা করো।