Setting
Surah The emissaries [Al-Mursalat] in Bengali
وَٱلْمُرْسَلَٰتِ عُرْفًۭا ﴿١﴾
কল্যাণের জন্যে প্রেরিত বায়ুর শপথ,
ভাবো প্রেরিতপুরুষগণের কথা -- একের পর এক,
فَٱلْعَٰصِفَٰتِ عَصْفًۭا ﴿٢﴾
সজোরে প্রবাহিত ঝটিকার শপথ,
আর ভাবো ঝড়ের মতো আসা দমকা হাওয়ার কথা,
فَٱلْفَٰرِقَٰتِ فَرْقًۭا ﴿٤﴾
মেঘপুঞ্জ বিতরণকারী বায়ুর শপথ এবং
তারপর আলাদা করে দেয় আলাদা করণে,
فَٱلْمُلْقِيَٰتِ ذِكْرًا ﴿٥﴾
ওহী নিয়ে অবতরণকারী ফেরেশতাগণের শপথ-
তারপর গেথে দেঁয় স্মারক গ্রন্থ, --
عُذْرًا أَوْ نُذْرًا ﴿٦﴾
ওযর-আপত্তির অবকাশ না রাখার জন্যে অথবা সতর্ক করার জন্যে।
পরিশোধিত করতে অথবা সতর্ক করতে।
إِنَّمَا تُوعَدُونَ لَوَٰقِعٌۭ ﴿٧﴾
নিশ্চয়ই তোমাদেরকে প্রদত্ত ওয়াদা বাস্তবায়িত হবে।
নিশ্চয় তোমাদের যা ওয়াদা করা হয়েছে তা অবশ্যই ঘটতে যাচ্ছে।
فَإِذَا ٱلنُّجُومُ طُمِسَتْ ﴿٨﴾
অতঃপর যখন নক্ষত্রসমুহ নির্বাপিত হবে,
সুতরাং যখন তারাগুলো ঝিমিয়ে পড়বে।
وَإِذَا ٱلْجِبَالُ نُسِفَتْ ﴿١٠﴾
যখন পর্বতমালাকে উড়িয়ে দেয়া হবে এবং
আর যখন পাহাড়গুলোকে উড়িয়ে দেওয়া হবে,
وَإِذَا ٱلرُّسُلُ أُقِّتَتْ ﴿١١﴾
যখন রসূলগণের একত্রিত হওয়ার সময় নিরূপিত হবে,
আর যখন রসূলগণকে নির্ধারিত সময়ে নিয়ে আসা হবে --
لِأَىِّ يَوْمٍ أُجِّلَتْ ﴿١٢﴾
এসব বিষয় কোন দিবসের জন্যে স্থগিত রাখা হয়েছে?
কোন সে দিনের জন্য ধার্য রাখা হয়েছে?
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا يَوْمُ ٱلْفَصْلِ ﴿١٤﴾
আপনি জানেন বিচার দিবস কি?
আর কী তোমাকে বুঝতে দেবে ফয়সালার দিনটি কি?
وَيْلٌۭ يَوْمَئِذٍۢ لِّلْمُكَذِّبِينَ ﴿١٥﴾
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।
ধিক্ সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য!
أَلَمْ نُهْلِكِ ٱلْأَوَّلِينَ ﴿١٦﴾
আমি কি পূর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করিনি?
আমরা কি পূর্ববর্তীদের নিধন করি নি?
ثُمَّ نُتْبِعُهُمُ ٱلْءَاخِرِينَ ﴿١٧﴾
অতঃপর তাদের পশ্চাতে প্রেরণ করব পরবর্তীদেরকে।
তারপর পরবর্তীদেরও আমরা তাদের অনুগমন করাব।
كَذَٰلِكَ نَفْعَلُ بِٱلْمُجْرِمِينَ ﴿١٨﴾
অপরাধীদের সাথে আমি এরূপই করে থাকি।
এইভাবেই আমরা অপরাধীদের প্রতি আচরণ করে থাকি।
وَيْلٌۭ يَوْمَئِذٍۢ لِّلْمُكَذِّبِينَ ﴿١٩﴾
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।
ধিক সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি!
أَلَمْ نَخْلُقكُّم مِّن مَّآءٍۢ مَّهِينٍۢ ﴿٢٠﴾
আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি থেকে সৃষ্টি করিনি?
তোমাদের কি আমরা সৃষ্টি করি নি এক তুচ্ছ জলীয় পদার্থ থেকে?
فَجَعَلْنَٰهُ فِى قَرَارٍۢ مَّكِينٍ ﴿٢١﴾
অতঃপর আমি তা রেখেছি এক সংরক্ষিত আধারে,
তারপর আমরা তা স্থাপন করি এক সুরক্ষিত স্থানে, --
فَقَدَرْنَا فَنِعْمَ ٱلْقَٰدِرُونَ ﴿٢٣﴾
অতঃপর আমি পরিমিত আকারে সৃষ্টি করেছি, আমি কত সক্ষম স্রষ্টা?
তারপর আমরা বিন্যস্ত করি, সুতরাং কত নিপুণ বিন্যাসকারী আমরা!
وَيْلٌۭ يَوْمَئِذٍۢ لِّلْمُكَذِّبِينَ ﴿٢٤﴾
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।
ধিক্ সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি!
أَلَمْ نَجْعَلِ ٱلْأَرْضَ كِفَاتًا ﴿٢٥﴾
আমি কি পৃথিবীকে সৃষ্টি করিনি ধারণকারিণীরূপে,
আমরা কি পৃথিবীটাকে বানাই নি আধাররূপে --
وَجَعَلْنَا فِيهَا رَوَٰسِىَ شَٰمِخَٰتٍۢ وَأَسْقَيْنَٰكُم مَّآءًۭ فُرَاتًۭا ﴿٢٧﴾
আমি তাতে স্থাপন করেছি মজবুত সুউচ্চ পর্বতমালা এবং পান করিয়েছি তোমাদেরকে তৃষ্ণা নিবারণকারী সুপেয় পানি।
আর তাতেই তো আমরা বানিয়েছি উঁচু পাহাড়-পর্বত, আর তোমাদের পান করতে দিয়েছি সুপেয় পানি?
وَيْلٌۭ يَوْمَئِذٍۢ لِّلْمُكَذِّبِينَ ﴿٢٨﴾
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।
ধিক সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি!
ٱنطَلِقُوٓا۟ إِلَىٰ مَا كُنتُم بِهِۦ تُكَذِّبُونَ ﴿٢٩﴾
চল তোমরা তারই দিকে, যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে।
''তোমরা চলো তারই দিকে যাকে তোমরা অস্বীকার করতে, --
ٱنطَلِقُوٓا۟ إِلَىٰ ظِلٍّۢ ذِى ثَلَٰثِ شُعَبٍۢ ﴿٣٠﴾
চল তোমরা তিন কুন্ডলীবিশিষ্ট ছায়ার দিকে,
''চলো সেই ছায়ার দিকে যার রয়েছে তিনটি স্তর, --
لَّا ظَلِيلٍۢ وَلَا يُغْنِى مِنَ ٱللَّهَبِ ﴿٣١﴾
যে ছায়া সুনিবিড় নয় এবং অগ্নির উত্তাপ থেকে রক্ষা করে না।
''যা ছায়াময় নয় এবং অগ্নিশিখা থেকে রক্ষা করার মতোও নয়।
إِنَّهَا تَرْمِى بِشَرَرٍۢ كَٱلْقَصْرِ ﴿٣٢﴾
এটা অট্টালিকা সদৃশ বৃহৎ স্ফুলিংগ নিক্ষেপ করবে।
''নিঃসন্দেহ এটি স্ফুলিঙ্গ তোলে অট্টালিকার আকারে,
كَأَنَّهُۥ جِمَٰلَتٌۭ صُفْرٌۭ ﴿٣٣﴾
যেন সে পীতবর্ণ উষ্ট্রশ্রেণী।
''যেন সেগুলো হলুদবরণ উটের পাল।’’
وَيْلٌۭ يَوْمَئِذٍۢ لِّلْمُكَذِّبِينَ ﴿٣٤﴾
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।
ধিক্ সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি!
هَٰذَا يَوْمُ لَا يَنطِقُونَ ﴿٣٥﴾
এটা এমন দিন, যেদিন কেউ কথা বলবে না।
এ হচ্ছে ঐ দিন যেদিন তারা কোনো কথা বলতে পারবে না,
وَلَا يُؤْذَنُ لَهُمْ فَيَعْتَذِرُونَ ﴿٣٦﴾
এবং কাউকে তওবা করার অনুমতি দেয়া হবে না।
আর তাদের অনুমতি দেওয়া হবে না যেন তারা অজুহাত দেখাতে পারে।
وَيْلٌۭ يَوْمَئِذٍۢ لِّلْمُكَذِّبِينَ ﴿٣٧﴾
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।
ধিক্ সেইদিন সত্যপ্রত্যাখানকারীদের প্রতি!
هَٰذَا يَوْمُ ٱلْفَصْلِ ۖ جَمَعْنَٰكُمْ وَٱلْأَوَّلِينَ ﴿٣٨﴾
এটা বিচার দিবস, আমি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে একত্রিত করেছি।
এই হচ্ছে ফয়সালা করার দিন, আমরা তোমাদের সমবেত করেছি, আর পূর্ববর্তীদেরও।
فَإِن كَانَ لَكُمْ كَيْدٌۭ فَكِيدُونِ ﴿٣٩﴾
অতএব, তোমাদের কোন অপকৌশল থাকলে তা প্রয়োগ কর আমার কাছে।
সুতরাং তোমাদের যদি কোনো কলাকৌশল থাকে তাহলে আমার বিরুদ্ধে অপকৌশল চালাও।
وَيْلٌۭ يَوْمَئِذٍۢ لِّلْمُكَذِّبِينَ ﴿٤٠﴾
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।
ধিক্ সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি!
إِنَّ ٱلْمُتَّقِينَ فِى ظِلَٰلٍۢ وَعُيُونٍۢ ﴿٤١﴾
নিশ্চয় খোদাভীরুরা থাকবে ছায়ায় এবং প্রস্রবণসমূহে-
নিশ্চয় ধর্মভীরুরা থাকবে স্নিগ্ধছায়ায় ও ফোয়ারাগুলোতে,
وَفَوَٰكِهَ مِمَّا يَشْتَهُونَ ﴿٤٢﴾
এবং তাদের বাঞ্ছিত ফল-মূলের মধ্যে।
আর ফলফসলের মধ্যে যা তারা পেতে চায়।
كُلُوا۟ وَٱشْرَبُوا۟ هَنِيٓـًٔۢا بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ ﴿٤٣﴾
বলা হবেঃ তোমরা যা করতে তার বিনিময়ে তৃপ্তির সাথে পানাহার কর।
''খাও আর পিয়ো মহানন্দে যা তোমরা করে চলেছিলে সেজন্য।’’
إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِى ٱلْمُحْسِنِينَ ﴿٤٤﴾
এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।
নিঃসন্দেহ এইভাবেই আমরা প্রতিদান দিই সৎকর্মশীলদের।
وَيْلٌۭ يَوْمَئِذٍۢ لِّلْمُكَذِّبِينَ ﴿٤٥﴾
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।
ধিক্ সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি!
كُلُوا۟ وَتَمَتَّعُوا۟ قَلِيلًا إِنَّكُم مُّجْرِمُونَ ﴿٤٦﴾
কাফেরগণ, তোমরা কিছুদিন খেয়ে নাও এবং ভোগ করে নাও। তোমরা তো অপরাধী।
খাও-দাও আর ভোগ করে নাও অল্পকালের জন্য -- তোমরা তো অপরাধী!’’
وَيْلٌۭ يَوْمَئِذٍۢ لِّلْمُكَذِّبِينَ ﴿٤٧﴾
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।
ধিক্ সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি!
وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ ٱرْكَعُوا۟ لَا يَرْكَعُونَ ﴿٤٨﴾
যখন তাদেরকে বলা হয়, নত হও, তখন তারা নত হয় না।
আর যখন তাদের বলা হয় ''নত হও’’, তারা নত হয় না।
وَيْلٌۭ يَوْمَئِذٍۢ لِّلْمُكَذِّبِينَ ﴿٤٩﴾
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।
ধিক্ সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি!
فَبِأَىِّ حَدِيثٍۭ بَعْدَهُۥ يُؤْمِنُونَ ﴿٥٠﴾
এখন কোন কথায় তারা এরপর বিশ্বাস স্থাপন করবে?
অতএব এর পরে আর কোন বাণীতে তারা বিশ্বাস করবে?