Setting
Surah The Thunder [Ar-Rad] in Bengali
الٓمٓر ۚ تِلْكَ ءَايَٰتُ ٱلْكِتَٰبِ ۗ وَٱلَّذِىٓ أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ ٱلْحَقُّ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يُؤْمِنُونَ ﴿١﴾
আলিফ, লাম, মীম, রা। এসব হচ্ছে গ্রন্থখানার আয়াতসমূহ। আর যা তোমার প্রভুর কাছ থেকে তোমার নিকট অবতীর্ণ হয়েছে তা পরমসত্য, কিন্তু অধিকাংশ লোক বিশ্বাস করে না।
ٱللَّهُ ٱلَّذِى رَفَعَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ بِغَيْرِ عَمَدٍۢ تَرَوْنَهَا ۖ ثُمَّ ٱسْتَوَىٰ عَلَى ٱلْعَرْشِ ۖ وَسَخَّرَ ٱلشَّمْسَ وَٱلْقَمَرَ ۖ كُلٌّۭ يَجْرِى لِأَجَلٍۢ مُّسَمًّۭى ۚ يُدَبِّرُ ٱلْأَمْرَ يُفَصِّلُ ٱلْءَايَٰتِ لَعَلَّكُم بِلِقَآءِ رَبِّكُمْ تُوقِنُونَ ﴿٢﴾
আল্লাহ্ই তিনি যিনি মহাকাশমন্ডলকে ঊর্ধ্বে স্থাপন করেছেন কোনো স্তম্ভ ছাড়া -- তোমরা তো এ দেখছ, আর তিনি আরশে সমাসীন হলেন, আর তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে অনুগত করলেন। প্রত্যেকে আবর্তন করছে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে। তিনিই ব্যাপার নিয়ন্ত্রণ করেন, বিশদভাবে বর্ণনা করেন নির্দেশাবলী, যেন তোমরা তোমাদের প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎকার সন্বন্ধে নিশ্চিত বিশ্বাস করতে পার।
وَهُوَ ٱلَّذِى مَدَّ ٱلْأَرْضَ وَجَعَلَ فِيهَا رَوَٰسِىَ وَأَنْهَٰرًۭا ۖ وَمِن كُلِّ ٱلثَّمَرَٰتِ جَعَلَ فِيهَا زَوْجَيْنِ ٱثْنَيْنِ ۖ يُغْشِى ٱلَّيْلَ ٱلنَّهَارَ ۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍۢ لِّقَوْمٍۢ يَتَفَكَّرُونَ ﴿٣﴾
আর তিনিই সেইজন যিনি পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন, আর তাতে স্থাপন করেছেন পর্বতমালা ও নদনদী। আর প্রত্যেক ফলের ক্ষেত্রে -- তার মধ্যে তিনি সৃষ্টি করেছেন জোড়ায়-জোড়ায় দুটি-দুটি। তিনি রাত্রিকে দিয়ে দিনকে আবৃত করেন। নিঃসন্দেহ এতে সাক্ষাৎ নিদর্শন রয়েছে সেই লোকদের জন্য যারা চিন্তা করে।
وَفِى ٱلْأَرْضِ قِطَعٌۭ مُّتَجَٰوِرَٰتٌۭ وَجَنَّٰتٌۭ مِّنْ أَعْنَٰبٍۢ وَزَرْعٌۭ وَنَخِيلٌۭ صِنْوَانٌۭ وَغَيْرُ صِنْوَانٍۢ يُسْقَىٰ بِمَآءٍۢ وَٰحِدٍۢ وَنُفَضِّلُ بَعْضَهَا عَلَىٰ بَعْضٍۢ فِى ٱلْأُكُلِ ۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍۢ لِّقَوْمٍۢ يَعْقِلُونَ ﴿٤﴾
আর পৃথিবীতে আছে পাশাপাশি মাঠ, আর আঙুরের বাগান ও শস্যক্ষেত্র ও খেজুরের গাছ -- ভিড় ক’রে ও ভিড় না ক’রে -- ওদের পানি দেওয়া হয় একই পানি। আর তাদের কতকটাকে কতকটার উপরে প্রাধান্য দিয়েছি আস্বাদনের ক্ষেত্রে। নিঃসন্দেহ এতে বিশিষ্ট নিদর্শন রয়েছে সেইসব লোকের জন্য যারা বুদ্ধি-বিবেচনা প্রয়োগ করে।
۞ وَإِن تَعْجَبْ فَعَجَبٌۭ قَوْلُهُمْ أَءِذَا كُنَّا تُرَٰبًا أَءِنَّا لَفِى خَلْقٍۢ جَدِيدٍ ۗ أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِرَبِّهِمْ ۖ وَأُو۟لَٰٓئِكَ ٱلْأَغْلَٰلُ فِىٓ أَعْنَاقِهِمْ ۖ وَأُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ ﴿٥﴾
আর যদি তুমি তাজ্জব হও তবে আজব ব্যাপার হচ্ছে তাদের কথা -- ''কী, আমরা যখন ধুলো হয়ে যাব তখন কি আমরা বাস্তবিকই নতুন জীবন লাভ করব?’’ এরাই তারা যারা তাদের প্রভুর প্রতি অবিশ্বাস পোষণ করে, আর এরাই -- এদের গলায় থাকবে শিকল, আর এরাই হবে আগুনের বাসিন্দা, তাতে তারা করবে অবস্থান।
وَيَسْتَعْجِلُونَكَ بِٱلسَّيِّئَةِ قَبْلَ ٱلْحَسَنَةِ وَقَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِمُ ٱلْمَثُلَٰتُ ۗ وَإِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍۢ لِّلنَّاسِ عَلَىٰ ظُلْمِهِمْ ۖ وَإِنَّ رَبَّكَ لَشَدِيدُ ٱلْعِقَابِ ﴿٦﴾
আর ওরা তোমাকে ভালর আগেই মন্দকে ত্বরান্বিত করতে বলে, যদিও ওদের পূর্বে বহু লক্ষণীয় শাস্তি গত হয়েছে। আর নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু লোকদের জন্য তাদের অন্যায়াচরণ সত্ত্বেও ক্ষমার অধিকারী, আর নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু প্রতিফল দানে অতি কঠোর।
وَيَقُولُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَوْلَآ أُنزِلَ عَلَيْهِ ءَايَةٌۭ مِّن رَّبِّهِۦٓ ۗ إِنَّمَآ أَنتَ مُنذِرٌۭ ۖ وَلِكُلِّ قَوْمٍ هَادٍ ﴿٧﴾
আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা বলে -- ''কেন তাঁর কাছে তাঁর প্রভুর কাছ থকে কোনো নিদর্শন প্রেরিত হয় না?’’ তুমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র, এবং সকল জাতির জন্যে একজন পথপ্রদর্শক।
ٱللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلُّ أُنثَىٰ وَمَا تَغِيضُ ٱلْأَرْحَامُ وَمَا تَزْدَادُ ۖ وَكُلُّ شَىْءٍ عِندَهُۥ بِمِقْدَارٍ ﴿٨﴾
আল্লাহ্ জানেন প্রত্যেক স্ত্রীলোক যা গর্ভে ধারণ করে, আর যা জরায়ূ শুষে নেয়, আর যা তারা বর্ধিত করে। আর তাঁর কাছে প্রত্যেক বস্তুরই এক নির্দিষ্ট পরিমাপ রয়েছে।
عَٰلِمُ ٱلْغَيْبِ وَٱلشَّهَٰدَةِ ٱلْكَبِيرُ ٱلْمُتَعَالِ ﴿٩﴾
তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাতা -- মহামহিম, চিরউন্নত।
سَوَآءٌۭ مِّنكُم مَّنْ أَسَرَّ ٱلْقَوْلَ وَمَن جَهَرَ بِهِۦ وَمَنْ هُوَ مُسْتَخْفٍۭ بِٱلَّيْلِ وَسَارِبٌۢ بِٱلنَّهَارِ ﴿١٠﴾
একসমান তোমাদের মধ্যে যে কথা লুকোয় ও যে তা খুলে বলে, আর যে রাত্রিবেলায় আত্মগোপন করে আর দিনের বেলায় বিচরণ করে।
لَهُۥ مُعَقِّبَٰتٌۭ مِّنۢ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِۦ يَحْفَظُونَهُۥ مِنْ أَمْرِ ٱللَّهِ ۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا۟ مَا بِأَنفُسِهِمْ ۗ وَإِذَآ أَرَادَ ٱللَّهُ بِقَوْمٍۢ سُوٓءًۭا فَلَا مَرَدَّ لَهُۥ ۚ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِۦ مِن وَالٍ ﴿١١﴾
তাঁর জন্য প্রহরী রয়েছে তাঁর সম্মুখভাগে ও তাঁর পশ্চাদভাগে, ওরা তাঁকে রক্ষণাবেক্ষণ করে আল্লাহ্র আদেশক্রমে। আল্লাহ্ অবশ্যই কোনো জাতির অবস্থায় পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেরাই তা পরিবর্তন করে। আর যখন আল্লাহ্ কোনো জাতির জন্য অকল্যাণ চান তখন তা রদ করার উপায় নেই, আর তাদের জন্য তিনি ছাড়া কোনো অভিভাবক নেই।
هُوَ ٱلَّذِى يُرِيكُمُ ٱلْبَرْقَ خَوْفًۭا وَطَمَعًۭا وَيُنشِئُ ٱلسَّحَابَ ٱلثِّقَالَ ﴿١٢﴾
তিনিই সেইজন যিনি তোমাদের দেখান বিদ্যুৎ ভয়উদ্দীপক এবং আশাসঞ্চারক, আর তিনি নিয়ে আসেন ভারী মেঘ।
وَيُسَبِّحُ ٱلرَّعْدُ بِحَمْدِهِۦ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةُ مِنْ خِيفَتِهِۦ وَيُرْسِلُ ٱلصَّوَٰعِقَ فَيُصِيبُ بِهَا مَن يَشَآءُ وَهُمْ يُجَٰدِلُونَ فِى ٱللَّهِ وَهُوَ شَدِيدُ ٱلْمِحَالِ ﴿١٣﴾
আর বজ্র-নিনাদ মহিমা ঘোষণা করে তাঁর প্রশংসার সাথে, আর ফিরিশ্তারাও তাঁর ভয়ে, আর তিনি বজ্রপাত প্রেরণ করেন, আর তা দিয়ে আঘাত করেন যাকে তিনি ইচ্ছা করেন, তবু তারা আল্লাহ্র সন্বন্ধে তর্কাতর্কি করে, যদিও তিনি ক্ষমতায় কঠোর।
لَهُۥ دَعْوَةُ ٱلْحَقِّ ۖ وَٱلَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِهِۦ لَا يَسْتَجِيبُونَ لَهُم بِشَىْءٍ إِلَّا كَبَٰسِطِ كَفَّيْهِ إِلَى ٱلْمَآءِ لِيَبْلُغَ فَاهُ وَمَا هُوَ بِبَٰلِغِهِۦ ۚ وَمَا دُعَآءُ ٱلْكَٰفِرِينَ إِلَّا فِى ضَلَٰلٍۢ ﴿١٤﴾
সত্যিকারের প্রার্থনা তাঁরই জন্য। আর তাঁকে ছেড়ে দিয়ে তারা যাদের কাছে প্রার্থনা জানায় তারা তাদের প্রতি কোনো প্রকারের সাড়া দেয় না, তবে যেন সে তার দুই হাত পানির দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে যাতে তা তার মুখে পৌঁছুতে পারে, কিন্তু তা তাতে পৌঁছুবে না। বস্তুতঃ অবিশ্বাসীদের প্রার্থনা ভ্রান্তিতে ভিন্ন নয়।
وَلِلَّهِ يَسْجُدُ مَن فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ طَوْعًۭا وَكَرْهًۭا وَظِلَٰلُهُم بِٱلْغُدُوِّ وَٱلْءَاصَالِ ۩ ﴿١٥﴾
আর আল্লাহ্কেই সিজদা করে যারাই আছে মহাকাশ-মন্ডলে ও পৃথিবীতে -- স্বেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়, আর তাদের ছায়াও সকালে ও সন্ধ্যায়।
قُلْ مَن رَّبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ قُلِ ٱللَّهُ ۚ قُلْ أَفَٱتَّخَذْتُم مِّن دُونِهِۦٓ أَوْلِيَآءَ لَا يَمْلِكُونَ لِأَنفُسِهِمْ نَفْعًۭا وَلَا ضَرًّۭا ۚ قُلْ هَلْ يَسْتَوِى ٱلْأَعْمَىٰ وَٱلْبَصِيرُ أَمْ هَلْ تَسْتَوِى ٱلظُّلُمَٰتُ وَٱلنُّورُ ۗ أَمْ جَعَلُوا۟ لِلَّهِ شُرَكَآءَ خَلَقُوا۟ كَخَلْقِهِۦ فَتَشَٰبَهَ ٱلْخَلْقُ عَلَيْهِمْ ۚ قُلِ ٱللَّهُ خَٰلِقُ كُلِّ شَىْءٍۢ وَهُوَ ٱلْوَٰحِدُ ٱلْقَهَّٰرُ ﴿١٦﴾
বলো -- ''কে মহাকাশমন্ডল ও পৃথিবীর প্রভু?’’ বল -- ''আল্লাহ্।’’ বল, ''তবে কি তোমরা তাঁকে ছেড়ে দিয়ে অভিভাবক-রূপে গ্রহণ কর তাদের যারা তাদের নিজেদের জন্যে কোনো লাভ কামাতে সক্ষম নয় আর ক্ষতিসাধনেও নয়?’’ বলো -- ''অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি এক-সমান অথবা অন্ধকার আর আলোক কি সমান-সমান? অথবা তারা কি আল্লাহ্র এমন অংশী দাঁড় করিয়েছে যারা তাঁর সৃষ্টির মত সৃষ্টি করেছে, যার ফলে সৃষ্টি তাদের কাছে সন্দেহ ঘটিয়েছে?’’ বল -- ''আল্লাহ্ই সব-কিছুর সৃষ্টিকর্তা, আর তিনি একক, সর্বাধিনায়ক।’’
أَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءًۭ فَسَالَتْ أَوْدِيَةٌۢ بِقَدَرِهَا فَٱحْتَمَلَ ٱلسَّيْلُ زَبَدًۭا رَّابِيًۭا ۚ وَمِمَّا يُوقِدُونَ عَلَيْهِ فِى ٱلنَّارِ ٱبْتِغَآءَ حِلْيَةٍ أَوْ مَتَٰعٍۢ زَبَدٌۭ مِّثْلُهُۥ ۚ كَذَٰلِكَ يَضْرِبُ ٱللَّهُ ٱلْحَقَّ وَٱلْبَٰطِلَ ۚ فَأَمَّا ٱلزَّبَدُ فَيَذْهَبُ جُفَآءًۭ ۖ وَأَمَّا مَا يَنفَعُ ٱلنَّاسَ فَيَمْكُثُ فِى ٱلْأَرْضِ ۚ كَذَٰلِكَ يَضْرِبُ ٱللَّهُ ٱلْأَمْثَالَ ﴿١٧﴾
তিনি আকাশ থেকে পানি অবতারণ করেন, তারপর জলধারা প্রবাহিত হয় তাদের পরিমাপ অনুসারে, আর খরস্রোত বয়ে নিয়ে যায় ফেঁপে ওঠা ফেনার রাশি। আর যা তারা আগুনে গলায় গহনাগাটি বা যন্ত্রপাতি নির্মাণের উদ্দেশ্যে তা থেকেও ওঠে ওর মতো ফেনায়িত গাদ। এইভাবে আল্লাহ্ সত্য ও মিথ্যার দৃষ্টান্ত দিয়ে থাকেন। কাজেই যা কিছু গাদ -- তা চলে যায় জালরূপে, আর যা মানুষের উপকারে আসে তা কিন্তু থেকে যায় পৃথিবীতে। এইভাবে আল্লাহ্ উপমা দিয়ে থাকেন।
لِلَّذِينَ ٱسْتَجَابُوا۟ لِرَبِّهِمُ ٱلْحُسْنَىٰ ۚ وَٱلَّذِينَ لَمْ يَسْتَجِيبُوا۟ لَهُۥ لَوْ أَنَّ لَهُم مَّا فِى ٱلْأَرْضِ جَمِيعًۭا وَمِثْلَهُۥ مَعَهُۥ لَٱفْتَدَوْا۟ بِهِۦٓ ۚ أُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمْ سُوٓءُ ٱلْحِسَابِ وَمَأْوَىٰهُمْ جَهَنَّمُ ۖ وَبِئْسَ ٱلْمِهَادُ ﴿١٨﴾
যারা তাদের প্রভুর প্রতি সাড়া দেয় তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ, আর যারা তাঁর প্রতি সাড়া দেয় না -- তাদের যদি থাকত পৃথিবীতে যা-কিছু আছে সবটাই ও সেই সঙ্গে তার সমপরিমাণ, তবে তারা নিশ্চয়ই তা মুক্তিপণরূপে অর্পণ করতো। এরাই -- এদের জন্য হবে মন্দ হিসাব, আর তাদের আবাস হবে জাহান্নাম, আর তা বড় নিকৃষ্ট বাসস্থান।
۞ أَفَمَن يَعْلَمُ أَنَّمَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ ٱلْحَقُّ كَمَنْ هُوَ أَعْمَىٰٓ ۚ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُو۟لُوا۟ ٱلْأَلْبَٰبِ ﴿١٩﴾
যেজন জানে যে তোমার প্রভুর কাছ থেকে তোমার নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছে তা সত্য সে কি তার মতো যে অন্ধ? নিঃসন্দেহ বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরাই কেবল স্মরণ করবে, --
ٱلَّذِينَ يُوفُونَ بِعَهْدِ ٱللَّهِ وَلَا يَنقُضُونَ ٱلْمِيثَٰقَ ﴿٢٠﴾
যারা আল্লাহ্র অংগীকার রক্ষা করে ও প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে না,
وَٱلَّذِينَ يَصِلُونَ مَآ أَمَرَ ٱللَّهُ بِهِۦٓ أَن يُوصَلَ وَيَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ وَيَخَافُونَ سُوٓءَ ٱلْحِسَابِ ﴿٢١﴾
আর যারা সংযুক্ত রাখে যা অক্ষুন্ন রাখতে আল্লাহ্ আদেশ করেছেন, আর যারা তাদের প্রভুকে ভয় করে, আর যারা ভয় করে মন্দ হিসাব সন্বন্ধে।
وَٱلَّذِينَ صَبَرُوا۟ ٱبْتِغَآءَ وَجْهِ رَبِّهِمْ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَنفَقُوا۟ مِمَّا رَزَقْنَٰهُمْ سِرًّۭا وَعَلَانِيَةًۭ وَيَدْرَءُونَ بِٱلْحَسَنَةِ ٱلسَّيِّئَةَ أُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمْ عُقْبَى ٱلدَّارِ ﴿٢٢﴾
আর যারা তাদের প্রভুর সন্তষ্টিলাভের অন্বেষণে অধ্যবসায় অবলন্বন করে, আর নামায কায়েম রাখে, আর আমরা তাদের যা জীবনোপকরণ দিয়েছি তা থেকে যারা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, আর ভাল দিয়ে মন্দকে দূর করে, -- এরাই তারা যাদের জন্য রয়েছে চরমোৎকর্ষ আবাস, --
جَنَّٰتُ عَدْنٍۢ يَدْخُلُونَهَا وَمَن صَلَحَ مِنْ ءَابَآئِهِمْ وَأَزْوَٰجِهِمْ وَذُرِّيَّٰتِهِمْ ۖ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةُ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِم مِّن كُلِّ بَابٍۢ ﴿٢٣﴾
নন্দন কানন যাতে তারা প্রবেশ করবে, আর তাদের পিতামাতাদের ও তাদের পতিপত্নীদের ও তাদের সন্তানসন্ততি দের মধ্যে যারা সৎকর্ম করেছে, আর ফিরিশ্তাগণ তাদের সামনে প্রবেশ করবে প্রত্যেক দরজা দিয়ে, --
سَلَٰمٌ عَلَيْكُم بِمَا صَبَرْتُمْ ۚ فَنِعْمَ عُقْبَى ٱلدَّارِ ﴿٢٤﴾
''শান্তি বর্ষিত হোক তোমাদের উপরে যেহেতু তোমরা অধ্যবসায় অবলন্বন করেছিলে, কাজেই কত ভাল এই চরমোৎকর্ষ আবাস!’’
وَٱلَّذِينَ يَنقُضُونَ عَهْدَ ٱللَّهِ مِنۢ بَعْدِ مِيثَٰقِهِۦ وَيَقْطَعُونَ مَآ أَمَرَ ٱللَّهُ بِهِۦٓ أَن يُوصَلَ وَيُفْسِدُونَ فِى ٱلْأَرْضِ ۙ أُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمُ ٱللَّعْنَةُ وَلَهُمْ سُوٓءُ ٱلدَّارِ ﴿٢٥﴾
আর যারা আল্লাহ্র সাথের অংগীকার ভঙ্গ করে সেটির সুদৃঢ়ীকরণের পরে, আর ছিন্ন করে যা অক্ষুন্ন রাখতে আল্লাহ্ আদেশ করেছেন, আর পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে, এরাই -- এদের জন্যেই রয়েছে ধিক্কার, আর এদেরই জন্যে আছে নিকৃষ্ট আবাস।
ٱللَّهُ يَبْسُطُ ٱلرِّزْقَ لِمَن يَشَآءُ وَيَقْدِرُ ۚ وَفَرِحُوا۟ بِٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَمَا ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَا فِى ٱلْءَاخِرَةِ إِلَّا مَتَٰعٌۭ ﴿٢٦﴾
আল্লাহ্ জীবিকা বাড়িয়ে দেন যাকে তিনি ইচ্ছে করেন, আর তিনি মাপজোখ করেন। আর তারা পার্থিব জীবনে উল্লসিত। অথচ ইহকালের জীবনটা তো পরকালের তুলনায় যৎসামান্য সুখ-ভোগ বৈ নয়।
وَيَقُولُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَوْلَآ أُنزِلَ عَلَيْهِ ءَايَةٌۭ مِّن رَّبِّهِۦ ۗ قُلْ إِنَّ ٱللَّهَ يُضِلُّ مَن يَشَآءُ وَيَهْدِىٓ إِلَيْهِ مَنْ أَنَابَ ﴿٢٧﴾
আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা বলে -- ''কেন তাঁর কাছে তাঁর প্রভুর কাছ থেকে একটি নিদর্শন অবতীর্ণ হয় না?’’ বলো -- ''নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ ভ্রান্তপথে যেতে দেন যাকে তিনি ইচ্ছে করেন, আর তাঁর দিকে পরিচালিত করেন যে ফেরে;
ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ ٱللَّهِ ۗ أَلَا بِذِكْرِ ٱللَّهِ تَطْمَئِنُّ ٱلْقُلُوبُ ﴿٢٨﴾
''যারা আস্থা স্থাপন করেছে আর আল্লাহ্র গুণকীর্তনে যাদের হৃদয় প্রশান্ত হয়।’’ এটি কি নয় যে আল্লাহ্র গুণগানেই হৃদয় প্রশান্তি লাভ করে?
ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ طُوبَىٰ لَهُمْ وَحُسْنُ مَـَٔابٍۢ ﴿٢٩﴾
যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করছে তাদেরই জন্য পরম সুখ ও শুভ পরিণাম।
كَذَٰلِكَ أَرْسَلْنَٰكَ فِىٓ أُمَّةٍۢ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهَآ أُمَمٌۭ لِّتَتْلُوَا۟ عَلَيْهِمُ ٱلَّذِىٓ أَوْحَيْنَآ إِلَيْكَ وَهُمْ يَكْفُرُونَ بِٱلرَّحْمَٰنِ ۚ قُلْ هُوَ رَبِّى لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْهِ مَتَابِ ﴿٣٠﴾
এইভাবে তোমাকে আমরা পাঠিয়েছি একটি জাতির মধ্যে যার পূর্বে বহু জাতি গত হয়ে গেছে, যেন তুমি তাদের কাছে পাঠ করতে পার যা আমরা তোমার কাছে প্রত্যাদেশ করছি, তথাপি তারা অবিশ্বাস করে পরম করুণাময়ের প্রতি! বল -- ''তিনিই আমার প্রভু, তিনি ছাড়া অন্য উপাস্য নেই, তাঁরই উপরে আমি নির্ভর করি আর তাঁর কাছেই আমার প্রত্যাবর্তন।’’
وَلَوْ أَنَّ قُرْءَانًۭا سُيِّرَتْ بِهِ ٱلْجِبَالُ أَوْ قُطِّعَتْ بِهِ ٱلْأَرْضُ أَوْ كُلِّمَ بِهِ ٱلْمَوْتَىٰ ۗ بَل لِّلَّهِ ٱلْأَمْرُ جَمِيعًا ۗ أَفَلَمْ يَا۟يْـَٔسِ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَن لَّوْ يَشَآءُ ٱللَّهُ لَهَدَى ٱلنَّاسَ جَمِيعًۭا ۗ وَلَا يَزَالُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ تُصِيبُهُم بِمَا صَنَعُوا۟ قَارِعَةٌ أَوْ تَحُلُّ قَرِيبًۭا مِّن دَارِهِمْ حَتَّىٰ يَأْتِىَ وَعْدُ ٱللَّهِ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُخْلِفُ ٱلْمِيعَادَ ﴿٣١﴾
আর যদি এমন একখানা কুরআন থাকত যার দ্বারা পাহাড়গুলো হটিয়ে দেয়া যেতো, অথবা তার দ্বারা পৃথিবীকে ছিন্নভিন্ন করা যেতো, অথবা মৃতকে তার দ্বারা কথা বলানো যেতো। বস্তুতঃ হুকুম পুরোপুরি আল্লাহ্র। যারা বিশ্বাস করেছে তারা কি জানে না যে, যদি আল্লাহ্ তেমন ইচ্ছে করতেন তবে সব মানুষকে একই সাথে সৎপথে চালিত করতেন? আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা যা করে সেজন্য তাদের উপরে বিপর্যয় আঘাত হানতে ক্ষান্ত হবে না, অথবা এটি তাদের বাড়িঘরের নিকটেই আপতিত হতে থাকবে, যে পর্যন্ত না আল্লাহ্র ওয়াদা সমাগত হয়। আল্লাহ্ আলবৎ ওয়াদা খেলাপ করেন না।
وَلَقَدِ ٱسْتُهْزِئَ بِرُسُلٍۢ مِّن قَبْلِكَ فَأَمْلَيْتُ لِلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ثُمَّ أَخَذْتُهُمْ ۖ فَكَيْفَ كَانَ عِقَابِ ﴿٣٢﴾
আর নিশ্চয়ই তোমার পূর্বে রসূলগণকে ঠাট্টাবিদ্রূপ করা হয়েছিল, সুতরাং যারা অবিশ্বাস করেছিল তাদের আমি অবকাশ দিয়েছিলাম, তারপর আমি তাদের পাকড়াও করেছিলাম, কাজেই কেমন ছিল আমার প্রতিফলদান!
أَفَمَنْ هُوَ قَآئِمٌ عَلَىٰ كُلِّ نَفْسٍۭ بِمَا كَسَبَتْ ۗ وَجَعَلُوا۟ لِلَّهِ شُرَكَآءَ قُلْ سَمُّوهُمْ ۚ أَمْ تُنَبِّـُٔونَهُۥ بِمَا لَا يَعْلَمُ فِى ٱلْأَرْضِ أَم بِظَٰهِرٍۢ مِّنَ ٱلْقَوْلِ ۗ بَلْ زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مَكْرُهُمْ وَصُدُّوا۟ عَنِ ٱلسَّبِيلِ ۗ وَمَن يُضْلِلِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِنْ هَادٍۢ ﴿٣٣﴾
তবে কি প্রত্যেক সত্ত্বা কি অর্জন করছে তাতে যিনি অধিষ্ঠিত রয়েছেন? তথাপি তারা আল্লাহ্র সাথে অংশী দাঁড় করায়! তুমি বল -- ''ওদের নাম দাও।’’ তবে কি তোমরা তাঁকে জানাতে চাও পৃথিবীতে এমন কিছু বিষয় যা তিনি জানেন না? না এটি বাহ্যতঃ একটি কথা মাত্র? না, ওদের ছলা-কলা চিত্তাকর্ষক মনে হয় তাদের কাছে যারা অবিশ্বাস পোষণ করে, আর তাদের ফিরিয়ে আনা হয় সৎপথ থেকে। আর যাকে আল্লাহ্ পথভ্রষ্ট হতে দেন তার জন্য তবে কোনো পথপ্রদর্শক নেই।
لَّهُمْ عَذَابٌۭ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا ۖ وَلَعَذَابُ ٱلْءَاخِرَةِ أَشَقُّ ۖ وَمَا لَهُم مِّنَ ٱللَّهِ مِن وَاقٍۢ ﴿٣٤﴾
তাদের জন্য শাস্তি রয়েছে এই দুনিয়ার জীবনেই, আর পরকালের শাস্তি তো আরো কঠোর, আর তাদের জন্য আল্লাহ্র বিরুদ্ধে কোনো রক্ষাকারী নেই।
۞ مَّثَلُ ٱلْجَنَّةِ ٱلَّتِى وُعِدَ ٱلْمُتَّقُونَ ۖ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ ۖ أُكُلُهَا دَآئِمٌۭ وَظِلُّهَا ۚ تِلْكَ عُقْبَى ٱلَّذِينَ ٱتَّقَوا۟ ۖ وَّعُقْبَى ٱلْكَٰفِرِينَ ٱلنَّارُ ﴿٣٥﴾
ধর্মভীরুদের কাছে যেটি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সেই স্বর্গোদ্যানের উপমা হচ্ছে -- তার নিচে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঝরনারাজি, তার ফলফসল চিরস্থায়ী আর তার ছায়াও। এই তাদের প্রতিফল যারা ধর্মপরায়ণতা অবলন্বন করে, আর অবিশ্বাসীদের পরিণাম হচ্ছে আগুন।
وَٱلَّذِينَ ءَاتَيْنَٰهُمُ ٱلْكِتَٰبَ يَفْرَحُونَ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ ۖ وَمِنَ ٱلْأَحْزَابِ مَن يُنكِرُ بَعْضَهُۥ ۚ قُلْ إِنَّمَآ أُمِرْتُ أَنْ أَعْبُدَ ٱللَّهَ وَلَآ أُشْرِكَ بِهِۦٓ ۚ إِلَيْهِ أَدْعُوا۟ وَإِلَيْهِ مَـَٔابِ ﴿٣٦﴾
আর যাদের আমরা ধর্মগ্রন্থ দিয়েছি তারা আনন্দ বোধ করে যা তোমার কাছে অবতীর্ণ হয়েছে তাতে, আর গোত্রদের মধ্যে এমনও আছে যে এর কিছুটা অস্বীকার করে। তুমি বলো -- ''নিঃসন্দেহ আমি আদিষ্ট হয়েছি যে আমি আল্লাহ্রই উপাসনা করবো এবং তাঁর সাথে কোন অংশী দাঁড় করাবো না। তাঁরই প্রতি আমি আহ্বান করি এবং তাঁরই নিকট আমার প্রত্যাবর্তন।’’
وَكَذَٰلِكَ أَنزَلْنَٰهُ حُكْمًا عَرَبِيًّۭا ۚ وَلَئِنِ ٱتَّبَعْتَ أَهْوَآءَهُم بَعْدَمَا جَآءَكَ مِنَ ٱلْعِلْمِ مَا لَكَ مِنَ ٱللَّهِ مِن وَلِىٍّۢ وَلَا وَاقٍۢ ﴿٣٧﴾
আর এইভাবে আমরা এটি অবতারণ করেছি -- একটি হুকুম আরবীতে। আর তুমি যদি তাদের খেয়ালখুশির অনুসরণ করো তোমার কাছে জ্ঞানের যা এসেছে তার পরে তবে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে তুমি পাবে না কোনো বন্ধুবান্ধব, আর না কোনো রক্ষক।
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلًۭا مِّن قَبْلِكَ وَجَعَلْنَا لَهُمْ أَزْوَٰجًۭا وَذُرِّيَّةًۭ ۚ وَمَا كَانَ لِرَسُولٍ أَن يَأْتِىَ بِـَٔايَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ ٱللَّهِ ۗ لِكُلِّ أَجَلٍۢ كِتَابٌۭ ﴿٣٨﴾
আর অবশ্যই তোমার পূর্বে আমরা বহু রসূল পাঠিয়েছি, আর তাঁদের জন্য আমরা দিয়েছিলাম স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি, আর কোনো রসূলের পক্ষে এটি নয় যে তিনি কোনো নিদর্শন উপস্থাপিত করবেন আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত। প্রত্যেক নির্ধারিত কালের জন্য বিধান রয়েছে।
يَمْحُوا۟ ٱللَّهُ مَا يَشَآءُ وَيُثْبِتُ ۖ وَعِندَهُۥٓ أُمُّ ٱلْكِتَٰبِ ﴿٣٩﴾
আল্লাহ্ বিলুপ্ত করেন যা তিনি ইচ্ছে করেন, আর প্রতিষ্ঠিত করেন, আর তাঁরই কাছে রয়েছে ধর্মগ্রন্থের ভিত্তি।
وَإِن مَّا نُرِيَنَّكَ بَعْضَ ٱلَّذِى نَعِدُهُمْ أَوْ نَتَوَفَّيَنَّكَ فَإِنَّمَا عَلَيْكَ ٱلْبَلَٰغُ وَعَلَيْنَا ٱلْحِسَابُ ﴿٤٠﴾
আর তোমাকে যদি আমরা দেখাই ওদের যা ওয়াদা করেছি তা থেকে কিছুটা, অথবা তোমার মৃত্যু ঘটিয়ে দিই, -- সর্বাবস্থায়ই তোমার উপরে হচ্ছে পৌঁছে দেওয়া, আর আমাদের উপরে হচ্ছে হিসাব গ্রহণ।
أَوَلَمْ يَرَوْا۟ أَنَّا نَأْتِى ٱلْأَرْضَ نَنقُصُهَا مِنْ أَطْرَافِهَا ۚ وَٱللَّهُ يَحْكُمُ لَا مُعَقِّبَ لِحُكْمِهِۦ ۚ وَهُوَ سَرِيعُ ٱلْحِسَابِ ﴿٤١﴾
ওরা কি দেখে না যে আমরা এই দেশটাকে নিয়ে চলেছি, একে সংকুচিত করছি তার চৌহদ্দি থেকে? আল্লাহ্ রায় দান করেন, তাঁর হুকুম প্রতিহত হবার নয়। আর তিনি হিসেব-নিকেশে তৎপর।
وَقَدْ مَكَرَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَلِلَّهِ ٱلْمَكْرُ جَمِيعًۭا ۖ يَعْلَمُ مَا تَكْسِبُ كُلُّ نَفْسٍۢ ۗ وَسَيَعْلَمُ ٱلْكُفَّٰرُ لِمَنْ عُقْبَى ٱلدَّارِ ﴿٤٢﴾
আর তাদের পূর্ববর্তীকালে যারা ছিল তারাও নিশ্চয়ইচক্রান্ত করেছিল, কিন্তু সমস্ত চক্রান্তই আল্লাহ্র। তিনি জানেন প্রত্যেক সত্ত্বা কী অর্জন করে। আর অবিশ্বাসীরা অচিরেই জানতে পারবে কার জন্য রয়েছে চরমোৎকর্ষ আবাস।
وَيَقُولُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَسْتَ مُرْسَلًۭا ۚ قُلْ كَفَىٰ بِٱللَّهِ شَهِيدًۢا بَيْنِى وَبَيْنَكُمْ وَمَنْ عِندَهُۥ عِلْمُ ٱلْكِتَٰبِ ﴿٤٣﴾
আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা বলে -- ''তুমি আল্লাহ্র রসূল নও।’’ বলো -- ''আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষীরূপে আল্লাহ্ই যথেষ্ট, আর সে যার কাছে রয়েছে ধর্মগ্রন্থের জ্ঞান।’’