Main pages

Surah Explained in detail [Fussilat] in Bengali

Surah Explained in detail [Fussilat] Ayah 54 Location Maccah Number 41

حمٓ ﴿١﴾

হা মীম!

تَنزِيلٌۭ مِّنَ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ﴿٢﴾

পরম করুণাময় অফুরন্ত ফলদাতার কাছ থেকে এ এক অবতারণ --

كِتَٰبٌۭ فُصِّلَتْ ءَايَٰتُهُۥ قُرْءَانًا عَرَبِيًّۭا لِّقَوْمٍۢ يَعْلَمُونَ ﴿٣﴾

একটি গ্রন্থ যার আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃত, আরবী কুরআন সেই লোকদের জন্য যারা জানে --

بَشِيرًۭا وَنَذِيرًۭا فَأَعْرَضَ أَكْثَرُهُمْ فَهُمْ لَا يَسْمَعُونَ ﴿٤﴾

সুসংবাদবাহক ও সতর্ককারী; কিন্ত তাদের অনেকেই সরে যায়, কাজেই তারা শোনে না।

وَقَالُوا۟ قُلُوبُنَا فِىٓ أَكِنَّةٍۢ مِّمَّا تَدْعُونَآ إِلَيْهِ وَفِىٓ ءَاذَانِنَا وَقْرٌۭ وَمِنۢ بَيْنِنَا وَبَيْنِكَ حِجَابٌۭ فَٱعْمَلْ إِنَّنَا عَٰمِلُونَ ﴿٥﴾

আর তারা বলে -- ''তুমি যার প্রতি আমাদের ডাকছ তা থেকে আমাদের হৃদয় ঢাকনির ভেতরে রয়েছে, আর আমাদের কানে রয়েছে বধিরতা, আর আমাদের মধ্যে ও তোমার মধ্যে রয়েছে একটি পর্দা কাজ করে যাও, আমরাও অবশ্য কাজ করে চলেছি।’’

قُلْ إِنَّمَآ أَنَا۠ بَشَرٌۭ مِّثْلُكُمْ يُوحَىٰٓ إِلَىَّ أَنَّمَآ إِلَٰهُكُمْ إِلَٰهٌۭ وَٰحِدٌۭ فَٱسْتَقِيمُوٓا۟ إِلَيْهِ وَٱسْتَغْفِرُوهُ ۗ وَوَيْلٌۭ لِّلْمُشْرِكِينَ ﴿٦﴾

বলো, ''আমি তো তোমাদের মতো একজন মানুষ মাত্র, আমার কাছে প্রত্যাদেশ হয়েছে যে তোমাদের উপাস্য নিশ্চয়ই একক উপাস্য, সুতরাং তাঁর দিকে সোজাসুজি পথ ধরো, আর তাঁরই কাছে পরিত্রাণ খোঁজো।’’ আর ধিক্ বহুখোদাবাদীদের প্রতি --

ٱلَّذِينَ لَا يُؤْتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ وَهُم بِٱلْءَاخِرَةِ هُمْ كَٰفِرُونَ ﴿٧﴾

যারা যাকাত প্রদান করে না, আর আখেরাত সম্পর্কে তারা স্বয়ং অবিশ্বাসী।

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ لَهُمْ أَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُونٍۢ ﴿٨﴾

পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করছে তাদের জন্য রয়েছে বাধাহীন প্রতিদান।

۞ قُلْ أَئِنَّكُمْ لَتَكْفُرُونَ بِٱلَّذِى خَلَقَ ٱلْأَرْضَ فِى يَوْمَيْنِ وَتَجْعَلُونَ لَهُۥٓ أَندَادًۭا ۚ ذَٰلِكَ رَبُّ ٱلْعَٰلَمِينَ ﴿٩﴾

বলো -- ''তোমরা কি ঠিকঠিকই তাঁকে অস্বীকার করছ যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে, আর তোমরা কি তাঁর সঙ্গে সমকক্ষ দাঁড় করাও? এমনজনই হচ্ছেন বিশ্বজগতের প্রভু।’’

وَجَعَلَ فِيهَا رَوَٰسِىَ مِن فَوْقِهَا وَبَٰرَكَ فِيهَا وَقَدَّرَ فِيهَآ أَقْوَٰتَهَا فِىٓ أَرْبَعَةِ أَيَّامٍۢ سَوَآءًۭ لِّلسَّآئِلِينَ ﴿١٠﴾

আর তার মধ্যে তার বহির্ভাগে তিনি স্থাপন করেছেন পর্বতমালা, আর তাতে তিনি অনুগ্রহ অর্পণ করেছেন, আর তাতে তিনি ব্যবস্থা করেছেন এর খাদ্যসামগ্রী -- চার দিনে। অনুসন্ধানকারীদের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।

ثُمَّ ٱسْتَوَىٰٓ إِلَى ٱلسَّمَآءِ وَهِىَ دُخَانٌۭ فَقَالَ لَهَا وَلِلْأَرْضِ ٱئْتِيَا طَوْعًا أَوْ كَرْهًۭا قَالَتَآ أَتَيْنَا طَآئِعِينَ ﴿١١﴾

তারপর তিনি ফিরলেন আকাশের দিকে আর সেটি ছিল এক ধূম্রজাল। অনন্তর তিনি এটিকে ও পৃথিবীকে বললেন -- ''তোমরা উভয়ে এসো স্বেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়।’’ তারা বললে -- ''আমরা আসছি অনুগত হয়ে।’’

فَقَضَىٰهُنَّ سَبْعَ سَمَٰوَاتٍۢ فِى يَوْمَيْنِ وَأَوْحَىٰ فِى كُلِّ سَمَآءٍ أَمْرَهَا ۚ وَزَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِمَصَٰبِيحَ وَحِفْظًۭا ۚ ذَٰلِكَ تَقْدِيرُ ٱلْعَزِيزِ ٱلْعَلِيمِ ﴿١٢﴾

তারপর তিনি তাদের সম্পূর্ণ করলেন সাত আসমানে, দুই দিনে, আর প্রত্যেক আকাশে তিনি আদেশ করেছেন তার করণীয়। আর আমরা নিকটবর্তী আকাশকে শোভিত করেছি প্রদীপমালা দিয়ে, আর সুরক্ষিত অবস্থায়। এটিই মহাশক্তিশালী সর্বজ্ঞাতার বিধান।

فَإِنْ أَعْرَضُوا۟ فَقُلْ أَنذَرْتُكُمْ صَٰعِقَةًۭ مِّثْلَ صَٰعِقَةِ عَادٍۢ وَثَمُودَ ﴿١٣﴾

এর পরেও তারা যদি ফিরে যায় তাহলে তুমি বলো -- ''আমি তোমাদের হুশিয়াঁর করে দিচ্ছি 'আদ ও ছামূদের বজ্রাঘাতের ন্যায় এক বজ্রাঘাত সন্বন্ধে।’’

إِذْ جَآءَتْهُمُ ٱلرُّسُلُ مِنۢ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ وَمِنْ خَلْفِهِمْ أَلَّا تَعْبُدُوٓا۟ إِلَّا ٱللَّهَ ۖ قَالُوا۟ لَوْ شَآءَ رَبُّنَا لَأَنزَلَ مَلَٰٓئِكَةًۭ فَإِنَّا بِمَآ أُرْسِلْتُم بِهِۦ كَٰفِرُونَ ﴿١٤﴾

স্মরণ করো! রসূলগণ তাদের কাছে এসেছিলেন তাদের সামনে থেকে ও তাদের পেছন থেকে এই বলে -- ''আল্লাহ্ ব্যতীত কারো উপাসনা করো না।’’ তারা বলেছিল -- ''আমাদের প্রভু যদি ইচ্ছা করতেন তাহলে তিনি নিশ্চয়ই ফিরিশ্‌তাদের পাঠাতে পারতেন, সেজন্য তোমাদের যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা আলবৎ তাতে অবিশ্বাসী।’’

فَأَمَّا عَادٌۭ فَٱسْتَكْبَرُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ بِغَيْرِ ٱلْحَقِّ وَقَالُوا۟ مَنْ أَشَدُّ مِنَّا قُوَّةً ۖ أَوَلَمْ يَرَوْا۟ أَنَّ ٱللَّهَ ٱلَّذِى خَلَقَهُمْ هُوَ أَشَدُّ مِنْهُمْ قُوَّةًۭ ۖ وَكَانُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا يَجْحَدُونَ ﴿١٥﴾

বস্তুতঃ 'আদ-এর ক্ষেত্রে -- তারা তখন পৃথিবীতে যুক্তি ব্যতিরেকে অহঙ্কার করত, আর বলত -- ''আমাদের চেয়ে বলবিক্রমে বেশী শক্তিশালী কে আছে?’’ তারা কি তবে দেখতে পায় নি যে, আল্লাহ্ যিনি তাদের সৃষ্টি করেছেন তিনি তাদের চেয়ে বলবিক্রমে অধিক বলীয়ান? আর তারা আমাদের নির্দেশাবলী সন্বন্ধে বাদ-প্রতিবাদ করত।

فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًۭا صَرْصَرًۭا فِىٓ أَيَّامٍۢ نَّحِسَاتٍۢ لِّنُذِيقَهُمْ عَذَابَ ٱلْخِزْىِ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا ۖ وَلَعَذَابُ ٱلْءَاخِرَةِ أَخْزَىٰ ۖ وَهُمْ لَا يُنصَرُونَ ﴿١٦﴾

সেজন্য আমরা তাদের উপরে পাঠিয়েছিলাম এক ভয়ংকর ঝড়তুফান অশুভ দিনে, যেন আমরা পার্থিব জীবনেই তাদের আস্বাদন করাতে পারি লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। আর আখেরাতের শাস্তি নিশ্চয়ই আরো বেশী লাঞ্ছনাদায়ক, আর তাদের সাহায্য করা হবে না।

وَأَمَّا ثَمُودُ فَهَدَيْنَٰهُمْ فَٱسْتَحَبُّوا۟ ٱلْعَمَىٰ عَلَى ٱلْهُدَىٰ فَأَخَذَتْهُمْ صَٰعِقَةُ ٱلْعَذَابِ ٱلْهُونِ بِمَا كَانُوا۟ يَكْسِبُونَ ﴿١٧﴾

আর ছামূদের ক্ষেত্রে -- আমরা তো তাদের পথ দেখিয়েছিলাম কিন্ত তারা পথ দেখার পরিবর্তে অন্ধত্ব ভালবেসেছিল, কাজেই তারা যা অর্জন করেছিল সেজন্য এক লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তির বজ্রাঘাত তাদের পাকড়াও করেছিল।

وَنَجَّيْنَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَكَانُوا۟ يَتَّقُونَ ﴿١٨﴾

আর আমরা উদ্ধার করেছিলাম তাদের যারা বিশ্বাস করেছিল এবং ভয়ভক্তি পোষণ করত।

وَيَوْمَ يُحْشَرُ أَعْدَآءُ ٱللَّهِ إِلَى ٱلنَّارِ فَهُمْ يُوزَعُونَ ﴿١٩﴾

আর সেই দিন যখন আল্লাহ্‌র শত্রুদের সমবেত করা হবে আগুনের দিকে, ফলে ওদের দল বাঁধা হবে, --

حَتَّىٰٓ إِذَا مَا جَآءُوهَا شَهِدَ عَلَيْهِمْ سَمْعُهُمْ وَأَبْصَٰرُهُمْ وَجُلُودُهُم بِمَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ ﴿٢٠﴾

পরিশেষে যখন তারা এর কাছে আসবে তখন তাদের কান ও তাদের চোখ ও তাদের ছাল-চামড়া তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে তারা যা করত সে-সন্বন্ধে।

وَقَالُوا۟ لِجُلُودِهِمْ لِمَ شَهِدتُّمْ عَلَيْنَا ۖ قَالُوٓا۟ أَنطَقَنَا ٱللَّهُ ٱلَّذِىٓ أَنطَقَ كُلَّ شَىْءٍۢ وَهُوَ خَلَقَكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍۢ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ ﴿٢١﴾

আর তারা নিজেদের ছাল-চামড়াকে বলবে -- ''তোমরা কেন আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে?’’ তারা বলবে -- আল্লাহ্ যিনি সব- কিছুকে কথা বলান, তিনিই আমাদের কথা বলিয়েছেন।’’ আর তিনি তোমাদের প্রথমবারে সৃষ্টি করেছেন, আর তাঁরই কাছে তোমাদের ফিরিয়ে আনা হবে।

وَمَا كُنتُمْ تَسْتَتِرُونَ أَن يَشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلَآ أَبْصَٰرُكُمْ وَلَا جُلُودُكُمْ وَلَٰكِن ظَنَنتُمْ أَنَّ ٱللَّهَ لَا يَعْلَمُ كَثِيرًۭا مِّمَّا تَعْمَلُونَ ﴿٢٢﴾

আর তোমাদের কান তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবার ব্যাপারে তোমরা কিছুই গোপন রাখতে না, আর তোমাদের চোখের থেকেও নয়, আর তোমাদের ছাল-চামড়া থেকেও নয়, উপরন্তু তোমরা মনে করতে যে তোমরা যা করেছিলে তার অধিকাংশই আল্লাহ্ জানেন না।

وَذَٰلِكُمْ ظَنُّكُمُ ٱلَّذِى ظَنَنتُم بِرَبِّكُمْ أَرْدَىٰكُمْ فَأَصْبَحْتُم مِّنَ ٱلْخَٰسِرِينَ ﴿٢٣﴾

আর তোমাদের এমনতর ভাবনাটাই যা তোমরা ভাবতে তোমাদের প্রভু সন্বন্ধে তা-ই তোমাদের ধ্বংস করেছে, ফলে সকালসকালই তোমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছ।

فَإِن يَصْبِرُوا۟ فَٱلنَّارُ مَثْوًۭى لَّهُمْ ۖ وَإِن يَسْتَعْتِبُوا۟ فَمَا هُم مِّنَ ٱلْمُعْتَبِينَ ﴿٢٤﴾

কাজেই তারা যদি অধ্যবসায় করে তাহলে আগুনই হবে তাদের অবস্থানস্থল, আর যদি তারা সদয়তা চায় তাহলে তারা নুগ্রহপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

۞ وَقَيَّضْنَا لَهُمْ قُرَنَآءَ فَزَيَّنُوا۟ لَهُم مَّا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَحَقَّ عَلَيْهِمُ ٱلْقَوْلُ فِىٓ أُمَمٍۢ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِم مِّنَ ٱلْجِنِّ وَٱلْإِنسِ ۖ إِنَّهُمْ كَانُوا۟ خَٰسِرِينَ ﴿٢٥﴾

আর আমরা তাদের জন্য সঙ্গী বানিয়েছিলাম, তাই তাদের জন্য তারা চিত্তাকর্ষক করেছিল যা তাদের সম্মুখে ছিল আর যা তাদের পশ্চাতে ছিল, আর তাদের বিরুদ্ধে বাণী সত্য প্রতিপন্ন হয়েছে, -- জিনদের ও মানুষদের মধ্যের যারা তাদের পূর্বে গত হয়ে গেছে সেই সম্প্রদায়ের মধ্যে, নিঃসন্দেহ তারা ছিল ক্ষতিগ্রস্ত।

وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَا تَسْمَعُوا۟ لِهَٰذَا ٱلْقُرْءَانِ وَٱلْغَوْا۟ فِيهِ لَعَلَّكُمْ تَغْلِبُونَ ﴿٢٦﴾

আর যারা অবিশ্বাস করে তারা বলে -- ''এই কুরআন শুনো না, আর এতে শোরগোল করো, যাতে তোমরা দমন করতে পারো।’’

فَلَنُذِيقَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ عَذَابًۭا شَدِيدًۭا وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَسْوَأَ ٱلَّذِى كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ ﴿٢٧﴾

সেজন্য যারা অবিশ্বাস করে তাদের আমরা অবশ্যই কঠিন শাস্তি আস্বাদন করাব, আর তাদের অবশ্যই প্রতিদান দেব তারা যা গর্হিত কাজ করত তাই দিয়ে।

ذَٰلِكَ جَزَآءُ أَعْدَآءِ ٱللَّهِ ٱلنَّارُ ۖ لَهُمْ فِيهَا دَارُ ٱلْخُلْدِ ۖ جَزَآءًۢ بِمَا كَانُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا يَجْحَدُونَ ﴿٢٨﴾

এই হচ্ছে আল্লাহ্‌র শত্রুদের পরিণাম -- আগুন, তাদের জন্য এখানে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী আবাস। আমাদের নির্দেশাবলী তারা অস্বীকার করত বলেই এটি হচ্ছে প্রতিফল।

وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ رَبَّنَآ أَرِنَا ٱلَّذَيْنِ أَضَلَّانَا مِنَ ٱلْجِنِّ وَٱلْإِنسِ نَجْعَلْهُمَا تَحْتَ أَقْدَامِنَا لِيَكُونَا مِنَ ٱلْأَسْفَلِينَ ﴿٢٩﴾

আর যারা অবিশ্বাস করে তারা বলবে -- ''আমাদের প্রভু! জিন ও মানুষদের যারা আমাদের বিপথে চালিয়েছিল তাদের আমাদের দেখিয়ে দাও, আমাদের পায়ের তলায় আমরা তাদের মাড়াবো, যাতে তারা অধমদের অন্তর্ভুক্ত হয়।’’

إِنَّ ٱلَّذِينَ قَالُوا۟ رَبُّنَا ٱللَّهُ ثُمَّ ٱسْتَقَٰمُوا۟ تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا۟ وَلَا تَحْزَنُوا۟ وَأَبْشِرُوا۟ بِٱلْجَنَّةِ ٱلَّتِى كُنتُمْ تُوعَدُونَ ﴿٣٠﴾

পক্ষান্তরে যারা বলে -- ''আমাদের প্রভু আল্লাহ’’, তারপর তারা কায়েম থাকে, তাদের নিকট ফিরিশ্‌তারা অবতরণ করে এই বলে -- ''ভয় করো না আর দুঃখ করো না, বরঞ্চ সুসংবাদ শুনো জান্নাতের যার জন্য তোমাদের প্রতি‌শ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

نَحْنُ أَوْلِيَآؤُكُمْ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَفِى ٱلْءَاخِرَةِ ۖ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَشْتَهِىٓ أَنفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَدَّعُونَ ﴿٣١﴾

''আমরা তোমাদের বন্ধু এই দুনিয়ার জীবনে ও পরকালে, আর তোমাদের জন্য এতে রয়েছে তোমাদের অন্তর যা-কিছু কামনা করে তাই, আর তোমাদের জন্য তাতে রয়েছে যা তোমরা চেয়ে পাঠাও।

نُزُلًۭا مِّنْ غَفُورٍۢ رَّحِيمٍۢ ﴿٣٢﴾

''পরিত্রাণকারী অফুরন্ত ফলদাতার তরফ থেকে এক আপ্যায়ন।’’

وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًۭا مِّمَّن دَعَآ إِلَى ٱللَّهِ وَعَمِلَ صَٰلِحًۭا وَقَالَ إِنَّنِى مِنَ ٱلْمُسْلِمِينَ ﴿٣٣﴾

আর কে তার চাইতে কথাবার্তায় বেশী ভাল যে আল্লাহ্‌র প্রতি আহ্বান করে এবং সৎকর্ম করে আর বলে -- ''আমি তো নিশ্চয়ই মুসলিমদের মধ্যেকার?’’

وَلَا تَسْتَوِى ٱلْحَسَنَةُ وَلَا ٱلسَّيِّئَةُ ۚ ٱدْفَعْ بِٱلَّتِى هِىَ أَحْسَنُ فَإِذَا ٱلَّذِى بَيْنَكَ وَبَيْنَهُۥ عَدَٰوَةٌۭ كَأَنَّهُۥ وَلِىٌّ حَمِيمٌۭ ﴿٣٤﴾

আর ভাল জিনিস ও মন্দ জিনিস একসমান হতে পারে না। প্রতিহত করো তাই দিয়ে যা অধিকতর উৎকৃষ্ট, ফলে দেখো! তোমার মধ্যে ও তার মধ্যে শত্রুতা থাকলেও সে যেন ছিল অন্তরঙ্গ বন্ধু।

وَمَا يُلَقَّىٰهَآ إِلَّا ٱلَّذِينَ صَبَرُوا۟ وَمَا يُلَقَّىٰهَآ إِلَّا ذُو حَظٍّ عَظِيمٍۢ ﴿٣٥﴾

আর কেউ এটি পেতে পারে না তারা ব্যতীত যারা অধ্যবসায় করে, আর কেউ এটি পেতে পারে না মহান সৌভাগ্যবান ব্যতীত।

وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ ٱلشَّيْطَٰنِ نَزْغٌۭ فَٱسْتَعِذْ بِٱللَّهِ ۖ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ ﴿٣٦﴾

আর শয়তান থেকে কোনো খোঁচা যদি তোমাকে খোঁচা দেয় তাহলে তুমি আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাও। নিঃসন্দেহ তিনি স্বয়ং সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।

وَمِنْ ءَايَٰتِهِ ٱلَّيْلُ وَٱلنَّهَارُ وَٱلشَّمْسُ وَٱلْقَمَرُ ۚ لَا تَسْجُدُوا۟ لِلشَّمْسِ وَلَا لِلْقَمَرِ وَٱسْجُدُوا۟ لِلَّهِ ٱلَّذِى خَلَقَهُنَّ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ ﴿٣٧﴾

আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে রাত ও দিন আর সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যের প্রতি সিজদা করো না আর চন্দ্রের প্রতিও নয়, বরং তোমরা সিজ্‌দা করো আল্লাহ্‌র প্রতি যিনি এগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা তাঁকেই উপাসনা করতে চাও।

فَإِنِ ٱسْتَكْبَرُوا۟ فَٱلَّذِينَ عِندَ رَبِّكَ يُسَبِّحُونَ لَهُۥ بِٱلَّيْلِ وَٱلنَّهَارِ وَهُمْ لَا يَسْـَٔمُونَ ۩ ﴿٣٨﴾

কিন্ত যদি তারা গর্ববোধ করে, বস্তুতঃ যারা তোমার প্রভুর সান্নিধ্যে রয়েছে তারা তাঁর জপতপ করছে দিন ও রাতভর, আর তারা ক্লান্তিবোধ করে না।

وَمِنْ ءَايَٰتِهِۦٓ أَنَّكَ تَرَى ٱلْأَرْضَ خَٰشِعَةًۭ فَإِذَآ أَنزَلْنَا عَلَيْهَا ٱلْمَآءَ ٱهْتَزَّتْ وَرَبَتْ ۚ إِنَّ ٱلَّذِىٓ أَحْيَاهَا لَمُحْىِ ٱلْمَوْتَىٰٓ ۚ إِنَّهُۥ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍۢ قَدِيرٌ ﴿٣٩﴾

আর তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে হচ্ছে যে, তুমি পৃথিবীটাকে দেখতে পাচ্ছ শুকনো, তারপর যখন তার উপরে আমরা বর্ষণ করি বৃষ্টি তখন তা চঞ্চল হয় ও ফেঁপে ওঠে। নিঃসন্দেহ যিনি এটিকে জীবনদান করেন তিনিই তো মৃতের প্রাণদাতা। তিনি নিশ্চয়ই সব- কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান।

إِنَّ ٱلَّذِينَ يُلْحِدُونَ فِىٓ ءَايَٰتِنَا لَا يَخْفَوْنَ عَلَيْنَآ ۗ أَفَمَن يُلْقَىٰ فِى ٱلنَّارِ خَيْرٌ أَم مَّن يَأْتِىٓ ءَامِنًۭا يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ ۚ ٱعْمَلُوا۟ مَا شِئْتُمْ ۖ إِنَّهُۥ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ ﴿٤٠﴾

নিঃসন্দেহ যারা বেঁকে বসে আমাদের নির্দেশাবলীসন্বন্ধে তারা আমাদের থেকে লুকিয়ে থাকা নয়। তবে কি যাকে আগুনে নিক্ষেপ করা হবে সে অধিকতর ভাল, না সে, যে কিয়ামতের দিনে নিরাপত্তার সাথে হাজির হবে? তোমরা যা চাও করে যাও, নিঃসন্দেহ তোমরা যা করছ সে-সন্বন্ধে তিনি সর্বদ্রষ্টা।

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِٱلذِّكْرِ لَمَّا جَآءَهُمْ ۖ وَإِنَّهُۥ لَكِتَٰبٌ عَزِيزٌۭ ﴿٤١﴾

নিঃসন্দেহ যারা স্মারকগ্রন্থকে প্রত্যাখ্যান করে তাদের কাছে তা আসার পরে। আর এটি তো নিশ্চয়ই এক সুমহান গ্রন্থ, --

لَّا يَأْتِيهِ ٱلْبَٰطِلُ مِنۢ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِۦ ۖ تَنزِيلٌۭ مِّنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍۢ ﴿٤٢﴾

এতে মিথ্যা কথা আসতে পারবে না এর সামনে থেকে, আর এর পেছন থেকেও নয়। এ হচ্ছে একটি অবতারণ মহাজ্ঞানী পরম প্রশংসিতের কাছ থেকে।

مَّا يُقَالُ لَكَ إِلَّا مَا قَدْ قِيلَ لِلرُّسُلِ مِن قَبْلِكَ ۚ إِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍۢ وَذُو عِقَابٍ أَلِيمٍۢ ﴿٤٣﴾

তোমার প্রতি এমন কিছু বলা হয়নি তা ব্যতীত যা বলা হতো তোমার পূর্ববর্তী রসূলগণের সন্বন্ধে। নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু নিশ্চয়ই পরিত্রাণে ক্ষমতাবান, এবং কঠোর প্রতিফল দিতে সক্ষম।

وَلَوْ جَعَلْنَٰهُ قُرْءَانًا أَعْجَمِيًّۭا لَّقَالُوا۟ لَوْلَا فُصِّلَتْ ءَايَٰتُهُۥٓ ۖ ءَا۬عْجَمِىٌّۭ وَعَرَبِىٌّۭ ۗ قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ هُدًۭى وَشِفَآءٌۭ ۖ وَٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ فِىٓ ءَاذَانِهِمْ وَقْرٌۭ وَهُوَ عَلَيْهِمْ عَمًى ۚ أُو۟لَٰٓئِكَ يُنَادَوْنَ مِن مَّكَانٍۭ بَعِيدٍۢ ﴿٤٤﴾

আর যদি আমরা এটিকে একটি আ'জমী ভাষণ বানাতাম তাহলে তারা নিশ্চয়ই বলত -- ''এর আয়াতগুলো কেন পরিস্কারভাবে বলা হয় নি? কী! একটি আ'জমী এবং একজন আরবীয়!’’ বলো -- ''যারা বিশ্বাস করে তাদের জন্য এটি এক পথনির্দেশ ও এক আরোগ্য-বিধান।’’ আর যারা বিশ্বাস করে না তাদের কানের মধ্যে রয়েছে বধিরতা, আর তাদের জন্য এটি অন্ধকারাচ্ছন্ন। এরা -- এদের ডাকা হয় বহু দূরের জায়গা থেকে।

وَلَقَدْ ءَاتَيْنَا مُوسَى ٱلْكِتَٰبَ فَٱخْتُلِفَ فِيهِ ۗ وَلَوْلَا كَلِمَةٌۭ سَبَقَتْ مِن رَّبِّكَ لَقُضِىَ بَيْنَهُمْ ۚ وَإِنَّهُمْ لَفِى شَكٍّۢ مِّنْهُ مُرِيبٍۢ ﴿٤٥﴾

আর আমরা তো ইতিপূর্বে মূসাকে ধর্মগ্রন্থ দিয়েছিলাম, কিন্ত এতে মতভেদ ঘটানো হয়েছিল। আর যদি না তোমার প্রভুর কাছ থেকে একটি বাণী ইতিপূর্বে ধার্য হয়ে থাকত তাহলে তাদের মধ্যে মীমাংসা হয়ে যেত। আর নিঃসন্দেহ এ-সন্বন্ধে তা রা এক অস্বস্তিকর সন্দেহের মাঝে রয়েছে।

مَّنْ عَمِلَ صَٰلِحًۭا فَلِنَفْسِهِۦ ۖ وَمَنْ أَسَآءَ فَعَلَيْهَا ۗ وَمَا رَبُّكَ بِظَلَّٰمٍۢ لِّلْعَبِيدِ ﴿٤٦﴾

যে কেউ সৎকর্ম করে থাকে, সেটি তো তার নিজের জন্যেই, আর যে কেউ মন্দকাজ করে সেটি তো তারই বিরুদ্ধে। আর তোমার প্রভু দাসদের প্রতি আদৌ অন্যায়কারী নন।

۞ إِلَيْهِ يُرَدُّ عِلْمُ ٱلسَّاعَةِ ۚ وَمَا تَخْرُجُ مِن ثَمَرَٰتٍۢ مِّنْ أَكْمَامِهَا وَمَا تَحْمِلُ مِنْ أُنثَىٰ وَلَا تَضَعُ إِلَّا بِعِلْمِهِۦ ۚ وَيَوْمَ يُنَادِيهِمْ أَيْنَ شُرَكَآءِى قَالُوٓا۟ ءَاذَنَّٰكَ مَا مِنَّا مِن شَهِيدٍۢ ﴿٤٧﴾

তাঁর কাছেই হাওয়ালা দেওয়া হয় ঘড়িঘন্টার জ্ঞান সন্বন্ধে। আর ফল-ফসলের কোনোটিই তার থোড়ের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে না, আর নারীদের কেউ গর্ভধারণ করে না ও সন্তান প্রসবও করে না তাঁর জ্ঞানের বাইরে। আর সেইদিন তিনি তাদের ডেকে বলবেন -- ''কোথায় আমার শরিকান?’’ তারা বলবে -- ''আমরা তোমার কাছে ঘোষণা করছি, আমাদের মধ্যে কেউই সাক্ষী নই।’’

وَضَلَّ عَنْهُم مَّا كَانُوا۟ يَدْعُونَ مِن قَبْلُ ۖ وَظَنُّوا۟ مَا لَهُم مِّن مَّحِيصٍۢ ﴿٤٨﴾

আর এর আগে যাদের তারা ডাকত তারা তাদের থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে, আর তারা বুঝবে যে তাদের জন্য কোনো আশ্রয় নেই।

لَّا يَسْـَٔمُ ٱلْإِنسَٰنُ مِن دُعَآءِ ٱلْخَيْرِ وَإِن مَّسَّهُ ٱلشَّرُّ فَيَـُٔوسٌۭ قَنُوطٌۭ ﴿٤٩﴾

মানুষ ভালর জন্যে প্রার্থনায় ক্লান্তি বোধ করে না, কিন্ত যদি দুঃখকষ্ট তাকে স্পর্শ করে সে তখন ধৈর্যহারা হয়ে যায়।

وَلَئِنْ أَذَقْنَٰهُ رَحْمَةًۭ مِّنَّا مِنۢ بَعْدِ ضَرَّآءَ مَسَّتْهُ لَيَقُولَنَّ هَٰذَا لِى وَمَآ أَظُنُّ ٱلسَّاعَةَ قَآئِمَةًۭ وَلَئِن رُّجِعْتُ إِلَىٰ رَبِّىٓ إِنَّ لِى عِندَهُۥ لَلْحُسْنَىٰ ۚ فَلَنُنَبِّئَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِمَا عَمِلُوا۟ وَلَنُذِيقَنَّهُم مِّنْ عَذَابٍ غَلِيظٍۢ ﴿٥٠﴾

আর দুঃখদুর্দশা তাকে স্পর্শ করার পরে আমরা যদি তাকে আমাদের থেকে করুণা আস্বাদ করাই, সে নিশ্চয়ই বলবে -- ''এটি আমারই জন্যে, আর আমি মনে করি না যে ঘড়িঘন্টা কায়েম হবে, আর যদিই বা আমাকে আমার প্রভুর কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তবে আমার জন্য তাঁর কাছে কল্যাণই থাকবে।’’ কিন্ত যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তাদের আমরা অবশ্যই জানিয়ে দেব কী তারা করেছিল এবং তাদের আমরা অবশ্যই আস্বাদন করাব কঠোর শাস্তি থেকে।

وَإِذَآ أَنْعَمْنَا عَلَى ٱلْإِنسَٰنِ أَعْرَضَ وَنَـَٔا بِجَانِبِهِۦ وَإِذَا مَسَّهُ ٱلشَّرُّ فَذُو دُعَآءٍ عَرِيضٍۢ ﴿٥١﴾

আর যখন আমরা মানুষের উপরে অনুগ্রহ বর্ষণ করি সে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও এর আশপাশ থেকে দূরে সরে যায়, কিন্ত যখন দুঃখকষ্ট তাকে স্পর্শ করে তখন দেখো! সে দীর্ঘ প্রার্থনায় রত হয়।

قُلْ أَرَءَيْتُمْ إِن كَانَ مِنْ عِندِ ٱللَّهِ ثُمَّ كَفَرْتُم بِهِۦ مَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ هُوَ فِى شِقَاقٍۭ بَعِيدٍۢ ﴿٥٢﴾

তুমি বলো -- ''তোমরা কি ভেবে দেখেছ, যদি এটি আল্লাহ্‌র কাছ থেকে হ’য়ে থাকে এবং তোমরা এতে অবিশ্বাস কর, তাহলে তার চাইতে কে বেশী পথভ্রান্ত যে সুদূরব্যাপী বিরুদ্ধাচরণে রয়েছে?’’

سَنُرِيهِمْ ءَايَٰتِنَا فِى ٱلْءَافَاقِ وَفِىٓ أَنفُسِهِمْ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ ٱلْحَقُّ ۗ أَوَلَمْ يَكْفِ بِرَبِّكَ أَنَّهُۥ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍۢ شَهِيدٌ ﴿٥٣﴾

আমরা অচিরেই তাদের দেখাব আমাদের নিদর্শনাবলী দিগদিগন্তে এবং তাদের নিজেদের মধ্যেও, যে পর্যন্ত না তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায় যে এটি নিঃসন্দেহ ধ্রুবসত্য। এটি কি যথেষ্ট নয় যে তোমার প্রভু -- তিনিই তো সব-কিছুর উপরে সাক্ষী রয়েছেন?

أَلَآ إِنَّهُمْ فِى مِرْيَةٍۢ مِّن لِّقَآءِ رَبِّهِمْ ۗ أَلَآ إِنَّهُۥ بِكُلِّ شَىْءٍۢ مُّحِيطٌۢ ﴿٥٤﴾

এটি কি নয় যে তারা আলবৎ সন্দেহের মাঝে রয়েছে তাদের প্রভুর সাথে সাক্ষাৎকার সন্বন্ধে? এটি কি নয় যে তিনি নিশ্চয় সব- কিছুরই পরিবেষ্টনকারী?