Setting
Surah The cloaked one [Al-Muddathir] in Bengali
يَٰٓأَيُّهَا ٱلْمُدَّثِّرُ ﴿١﴾
হে প্রিয় পোশাক-পরিহিত!
قُمْ فَأَنذِرْ ﴿٢﴾
ওঠো এবং সতর্ক করো,
وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ ﴿٣﴾
আর তোমার প্রভু -- মাহাত্ম্য ঘোষণা করো,
وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ ﴿٤﴾
আর তোমার পোশাক -- তবে পবিত্র করো,
وَٱلرُّجْزَ فَٱهْجُرْ ﴿٥﴾
আর কদর্যতা -- তবে পরিহার করো,
وَلَا تَمْنُن تَسْتَكْثِرُ ﴿٦﴾
আর অনুগ্রহ করো না বেশি পাবার প্রত্যাশায়,
وَلِرَبِّكَ فَٱصْبِرْ ﴿٧﴾
আর তোমার প্রভুর জন্য তবে অধ্যবসায় চালিয়ে যাও।
فَإِذَا نُقِرَ فِى ٱلنَّاقُورِ ﴿٨﴾
তারপর যখন শিঙায় আওয়াজ দেওয়া হবে,
فَذَٰلِكَ يَوْمَئِذٍۢ يَوْمٌ عَسِيرٌ ﴿٩﴾
সেটি তবে হবে, সেই দিনটি, এক মহাসংকটের দিন --
عَلَى ٱلْكَٰفِرِينَ غَيْرُ يَسِيرٍۢ ﴿١٠﴾
অবিশ্বাসীদের উপরে; আরামদায়ক নয়।
ذَرْنِى وَمَنْ خَلَقْتُ وَحِيدًۭا ﴿١١﴾
ছেড়ে দাও আমাকে ও তাকে যাকে আমি সৃষ্টি করেছি এককভাবে,
وَجَعَلْتُ لَهُۥ مَالًۭا مَّمْدُودًۭا ﴿١٢﴾
আর তার জন্য আমি বিপুল ধনসম্পদ দিয়েছিলাম,
وَبَنِينَ شُهُودًۭا ﴿١٣﴾
আর সন্তানসন্ততি প্রত্যক্ষ অবস্থানকারী,
وَمَهَّدتُّ لَهُۥ تَمْهِيدًۭا ﴿١٤﴾
আর তার জন্য আমি সহজ করে দিয়েছিলাম স্বচ্ছন্দভাবে,
ثُمَّ يَطْمَعُ أَنْ أَزِيدَ ﴿١٥﴾
তারপরেও সে চায় যে আমি যেন আরো বাড়িয়ে দিই!
كَلَّآ ۖ إِنَّهُۥ كَانَ لِءَايَٰتِنَا عَنِيدًۭا ﴿١٦﴾
কখনো নয়! কেননা সে আমাদের নির্দেশাবলী সন্বন্ধে ঘোর বিরুদ্ধাচারী।
سَأُرْهِقُهُۥ صَعُودًا ﴿١٧﴾
আমি তার উপরে আনব এক ক্রমবর্ধমান আঘাত।
إِنَّهُۥ فَكَّرَ وَقَدَّرَ ﴿١٨﴾
কেননা নিশ্চয় সে ভাবনাচিন্তা করল এবং মেপেজোখে দেখল।
فَقُتِلَ كَيْفَ قَدَّرَ ﴿١٩﴾
সুতরাং সে নিপাত যাক! কেমনতর সে যাচাই করেছিল!
ثُمَّ قُتِلَ كَيْفَ قَدَّرَ ﴿٢٠﴾
পুনশ্চ সে নিপাত যাক! কেমন করে সে যাচাই করছিল!
ثُمَّ نَظَرَ ﴿٢١﴾
সে আবার তাকিয়ে দেখল,
ثُمَّ عَبَسَ وَبَسَرَ ﴿٢٢﴾
তারপর সে ভ্রকুঞ্চিত করল ও মুখ বিকৃত করল,
ثُمَّ أَدْبَرَ وَٱسْتَكْبَرَ ﴿٢٣﴾
তারপর সে পিছিয়ে গেল ও বুক ফুলিয়ে এগিয়ে এল,
فَقَالَ إِنْ هَٰذَآ إِلَّا سِحْرٌۭ يُؤْثَرُ ﴿٢٤﴾
তারপর বললে -- ''এ বরাবর চলে আসা জাদু বৈ তো নয়!
إِنْ هَٰذَآ إِلَّا قَوْلُ ٱلْبَشَرِ ﴿٢٥﴾
''এ একজন মানুষের কথা বৈ তো নয়।’’
سَأُصْلِيهِ سَقَرَ ﴿٢٦﴾
আমি শীঘ্রই তাকে ফেলব জ্বালাময় আগুনে।
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا سَقَرُ ﴿٢٧﴾
আর কী তোমাকে বোঝাবে জ্বালাময় আগুনটা কি?
لَا تُبْقِى وَلَا تَذَرُ ﴿٢٨﴾
তা কিছুই বাকী রাখে না, আর কিছুই ছেড়ে দেয় না,
لَوَّاحَةٌۭ لِّلْبَشَرِ ﴿٢٩﴾
মানুষকে একেবারে ঝলসে দেবে,
عَلَيْهَا تِسْعَةَ عَشَرَ ﴿٣٠﴾
তার উপরে রয়েছে ''উনিশ’’।
وَمَا جَعَلْنَآ أَصْحَٰبَ ٱلنَّارِ إِلَّا مَلَٰٓئِكَةًۭ ۙ وَمَا جَعَلْنَا عِدَّتَهُمْ إِلَّا فِتْنَةًۭ لِّلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لِيَسْتَيْقِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ وَيَزْدَادَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِيمَٰنًۭا ۙ وَلَا يَرْتَابَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ وَٱلْمُؤْمِنُونَ ۙ وَلِيَقُولَ ٱلَّذِينَ فِى قُلُوبِهِم مَّرَضٌۭ وَٱلْكَٰفِرُونَ مَاذَآ أَرَادَ ٱللَّهُ بِهَٰذَا مَثَلًۭا ۚ كَذَٰلِكَ يُضِلُّ ٱللَّهُ مَن يَشَآءُ وَيَهْدِى مَن يَشَآءُ ۚ وَمَا يَعْلَمُ جُنُودَ رَبِّكَ إِلَّا هُوَ ۚ وَمَا هِىَ إِلَّا ذِكْرَىٰ لِلْبَشَرِ ﴿٣١﴾
আর আমরা ফিরিশ্তাদের ছাড়া আগুনের প্রহরী করি নি, আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করেছে তাদের পরীক্ষারূপে ছাড়া আমরা এদের সংখ্যা নির্ধারণ করি নি, যেন যাদের গ্রন্থ দেয়া হয়েছিল তাদের দৃঢ়প্রত্যয় জন্মে, আর যারা বিশ্বাস করেছে তাদের ঈমান যেন বর্ধিত হয়, আর যাদের গ্রন্থ দেওয়া হয়েছে ও যারা বিশ্বাসী তারা যেন সন্দেহ না করে, আর যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে ও যারা অবিশ্বাসী তারা যেন বলতে পারে -- ''এই রূপকের দ্বারা আল্লাহ্ কী বোঝাতে চাইছেন?’’ এইভাবে আল্লাহ্ বিভ্রান্ত করেন যাকে তিনি ইচ্ছা করেন, এবং পথনির্দেশ দেন যাকে তিনি চান। আর তিনি ছাড়া আর কেউ তোমার প্রভুর বাহিনীকে সম্যক জানে না। বস্তুত এটি মানবকুলের জন্য এক সতর্কীকরণ বৈ তো নয়।
كَلَّا وَٱلْقَمَرِ ﴿٣٢﴾
না! ভাবো চাঁদের কথা;
وَٱلَّيْلِ إِذْ أَدْبَرَ ﴿٣٣﴾
আর রাতের কথা যখন তার অবসান ঘটে।
وَٱلصُّبْحِ إِذَآ أَسْفَرَ ﴿٣٤﴾
আর প্রভাতকালের কথা যখন তা হয় আলোকোজ্জ্বল।
إِنَّهَا لَإِحْدَى ٱلْكُبَرِ ﴿٣٥﴾
নিঃসন্দেহ এটি অতি বিরাট এক ব্যাপার --
نَذِيرًۭا لِّلْبَشَرِ ﴿٣٦﴾
মানুষের জন্য সতর্কীকরণরূপে,
لِمَن شَآءَ مِنكُمْ أَن يَتَقَدَّمَ أَوْ يَتَأَخَّرَ ﴿٣٧﴾
তোমাদের মধ্যের তার জন্য যে আগবাড়তে চায়, অথবা পেছনে থাকতে চায়।
كُلُّ نَفْسٍۭ بِمَا كَسَبَتْ رَهِينَةٌ ﴿٣٨﴾
প্রত্যেক সত্ত্বাই জামিন থাকবে যা সে অর্জন করে তার জন্য, --
إِلَّآ أَصْحَٰبَ ٱلْيَمِينِ ﴿٣٩﴾
ডানদিকের লোকেরা ব্যতীত,
فِى جَنَّٰتٍۢ يَتَسَآءَلُونَ ﴿٤٠﴾
জান্নাতে, তারা পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে --
عَنِ ٱلْمُجْرِمِينَ ﴿٤١﴾
অপরাধীদের সম্পর্কে;
مَا سَلَكَكُمْ فِى سَقَرَ ﴿٤٢﴾
''কিসে তোমাদের নিয়ে এসেছে জ্বালাময় আগুনে?’’
قَالُوا۟ لَمْ نَكُ مِنَ ٱلْمُصَلِّينَ ﴿٤٣﴾
তারা বলবে -- ''আমরা নামাযীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না,
وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ ٱلْمِسْكِينَ ﴿٤٤﴾
''আর আমরা অভাবগ্রস্তদের খাবার দিতে চাইতাম না;
وَكُنَّا نَخُوضُ مَعَ ٱلْخَآئِضِينَ ﴿٤٥﴾
''বরং আমরা বৃথা তর্ক করতাম বৃথা তর্ককারীদের সঙ্গে,
وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ ٱلدِّينِ ﴿٤٦﴾
''আর আমরা বিচারের দিনকে মিথ্যা বলতাম, --
حَتَّىٰٓ أَتَىٰنَا ٱلْيَقِينُ ﴿٤٧﴾
''যতক্ষণ না অবশ্যাম্ভাবী আমাদের কাছে এসেছিল।’’
فَمَا تَنفَعُهُمْ شَفَٰعَةُ ٱلشَّٰفِعِينَ ﴿٤٨﴾
ফলে সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোনো কাজে আসবে না।
فَمَا لَهُمْ عَنِ ٱلتَّذْكِرَةِ مُعْرِضِينَ ﴿٤٩﴾
তাদের তবে কি হয়েছে যে তারা অনুশাসন থেকে ফিরে চলে যায়,
كَأَنَّهُمْ حُمُرٌۭ مُّسْتَنفِرَةٌۭ ﴿٥٠﴾
যেন তারা ভীত-ত্রস্ত গাধার দল,
فَرَّتْ مِن قَسْوَرَةٍۭ ﴿٥١﴾
পালিয়ে যাচ্ছে সিংহের থেকে?
بَلْ يُرِيدُ كُلُّ ٱمْرِئٍۢ مِّنْهُمْ أَن يُؤْتَىٰ صُحُفًۭا مُّنَشَّرَةًۭ ﴿٥٢﴾
বস্তুত তাদের মধ্যের প্রত্যেকটি লোকই চায় যে তাকে যেন দেওয়া হয় খোলামেলা কাগজের তাড়া।
كَلَّا ۖ بَل لَّا يَخَافُونَ ٱلْءَاخِرَةَ ﴿٥٣﴾
কখনো না। তারা কিন্ত পরকালের ভয় করে না।
كَلَّآ إِنَّهُۥ تَذْكِرَةٌۭ ﴿٥٤﴾
কক্ষনো না! এটি নিশ্চয়ই এক অনুশাসন।
فَمَن شَآءَ ذَكَرَهُۥ ﴿٥٥﴾
সুতরাং যে কেউ চায় সে এটি স্মরণ করুক।
وَمَا يَذْكُرُونَ إِلَّآ أَن يَشَآءَ ٱللَّهُ ۚ هُوَ أَهْلُ ٱلتَّقْوَىٰ وَأَهْلُ ٱلْمَغْفِرَةِ ﴿٥٦﴾
আর তারা মনোনিবেশ করবে না যদি না আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন। তিনিই ভয়ভক্তি করার যোগ্য পাত্র এবং তিনিই পরিত্রাণের যথার্থ অধিকারী।