Setting
Surah He Frowned [Abasa] in Bengali
عَبَسَ وَتَوَلَّىٰٓ ﴿١﴾
তিনি ভ্রূকুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
তিনি ভ্রকুটি করলেন এবং ফিরে বসলেন,
أَن جَآءَهُ ٱلْأَعْمَىٰ ﴿٢﴾
কারণ, তাঁর কাছে এক অন্ধ আগমন করল।
কেননা একজন অন্ধ তাঁর কাছে এসেছিল।
وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّهُۥ يَزَّكَّىٰٓ ﴿٣﴾
আপনি কি জানেন, সে হয়তো পরিশুদ্ধ হত,
আর কী তোমাকে বুঝতে দেবে যে সে হয়ত পবিত্র হতে চেয়েছিল,
أَوْ يَذَّكَّرُ فَتَنفَعَهُ ٱلذِّكْرَىٰٓ ﴿٤﴾
অথবা উপদেশ গ্রহণ করতো এবং উপদেশ তার উপকার হত।
অথবা সে মনোনিবেশ করত, ফলে স্মারকবাণী তার উপকারে আসত?
وَمَا عَلَيْكَ أَلَّا يَزَّكَّىٰ ﴿٧﴾
সে শুদ্ধ না হলে আপনার কোন দোষ নেই।
অথচ তোমার উপরে নেই যদি সে নিজেকে পবিত্র না করে।
وَأَمَّا مَن جَآءَكَ يَسْعَىٰ ﴿٨﴾
যে আপনার কাছে দৌড়ে আসলো
আর তার ক্ষেত্রে যে তোমার কাছে এসেছিল আগ্রহ নিয়ে,
كَلَّآ إِنَّهَا تَذْكِرَةٌۭ ﴿١١﴾
কখনও এরূপ করবেন না, এটা উপদেশবানী।
কদাচ না! নিঃসন্দেহ এ এক স্মরণীয় বার্তা,
فَمَن شَآءَ ذَكَرَهُۥ ﴿١٢﴾
অতএব, যে ইচ্ছা করবে, সে একে গ্রহণ করবে।
অতএব যে ইচ্ছা করে সে তা স্মরণ রাখুক।
قُتِلَ ٱلْإِنسَٰنُ مَآ أَكْفَرَهُۥ ﴿١٧﴾
মানুষ ধ্বংস হোক, সে কত অকৃতজ্ঞ!
যা তাকে অকৃতজ্ঞ বানিয়েছে সেজন্য মানুষকে ধ্বংস করা হোক।
مِنْ أَىِّ شَىْءٍ خَلَقَهُۥ ﴿١٨﴾
তিনি তাকে কি বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন?
কী জিনিস থেকে তাকে তিনি সৃষ্টি করেছেন?
مِن نُّطْفَةٍ خَلَقَهُۥ فَقَدَّرَهُۥ ﴿١٩﴾
শুক্র থেকে তাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে সুপরিমিত করেছেন।
এক শুক্রকীট থেকে! তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তিনি তাকে সুসমঞ্জস করেছেন,
ثُمَّ ٱلسَّبِيلَ يَسَّرَهُۥ ﴿٢٠﴾
অতঃপর তার পথ সহজ করেছেন,
তারপর তার জন্য পথ সহজ করে দিয়েছেন,
ثُمَّ أَمَاتَهُۥ فَأَقْبَرَهُۥ ﴿٢١﴾
অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান ও কবরস্থ করেন তাকে।
তারপর তিনি তার মৃত্যু ঘটান, এবং তাকে কবরস্থ করেন,
ثُمَّ إِذَا شَآءَ أَنشَرَهُۥ ﴿٢٢﴾
এরপর যখন ইচ্ছা করবেন তখন তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন।
তারপর যখন তিনি চাইবেন তখন তাকে পুনর্জীবিত করবেন।
كَلَّا لَمَّا يَقْضِ مَآ أَمَرَهُۥ ﴿٢٣﴾
সে কখনও কৃতজ্ঞ হয়নি, তিনি তাকে যা আদেশ করেছেন, সে তা পূর্ণ করেনি।
না, তাকে তিনি যা আদেশ করেছিলেন তা সে পালন করে নি।
فَلْيَنظُرِ ٱلْإِنسَٰنُ إِلَىٰ طَعَامِهِۦٓ ﴿٢٤﴾
মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক,
অতএব মানুষ তার খাদ্যের দিকে ভেবে দেখুক --
أَنَّا صَبَبْنَا ٱلْمَآءَ صَبًّۭا ﴿٢٥﴾
আমি আশ্চর্য উপায়ে পানি বর্ষণ করেছি,
কেমন ক’রে আমরা বৃষ্টি বর্ষণ করি বর্ষণধারায়,
ثُمَّ شَقَقْنَا ٱلْأَرْضَ شَقًّۭا ﴿٢٦﴾
এরপর আমি ভূমিকে বিদীর্ণ করেছি,
তারপর আমরা মাটিকে ফাটিয়ে দিই চৌচির ক’রে,
فَأَنۢبَتْنَا فِيهَا حَبًّۭا ﴿٢٧﴾
অতঃপর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্য,
তারপর তাতে আমরা জন্মাই শস্য,
مَّتَٰعًۭا لَّكُمْ وَلِأَنْعَٰمِكُمْ ﴿٣٢﴾
তোমাদেরও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপাকারার্থে।
তোমাদের জন্য খাদ্যভান্ডার ও তোমাদের গবাদি-পশুর জন্যেও।
فَإِذَا جَآءَتِ ٱلصَّآخَّةُ ﴿٣٣﴾
অতঃপর যেদিন কর্ণবিদারক নাদ আসবে,
তারপর যেদিন কান-ফাটানো আওয়াজ আসবে --
يَوْمَ يَفِرُّ ٱلْمَرْءُ مِنْ أَخِيهِ ﴿٣٤﴾
সেদিন পলায়ন করবে মানুষ তার ভ্রাতার কাছ থেকে,
সেইদিন মানুষ তার ভাইকে ছেড়ে পালাবে,
وَصَٰحِبَتِهِۦ وَبَنِيهِ ﴿٣٦﴾
তার পত্নী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে।
আর তার পতিপত্নীকে ও তার সন্তানসন্ততিকে।
لِكُلِّ ٱمْرِئٍۢ مِّنْهُمْ يَوْمَئِذٍۢ شَأْنٌۭ يُغْنِيهِ ﴿٣٧﴾
সেদিন প্রত্যেকেরই নিজের এক চিন্তা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে।
সেদিন তাদের মধ্যের প্রত্যেক লোকেরই এত ব্যস্ততা থাকবে যে তাকে বেখেয়াল করে দেবে।
وُجُوهٌۭ يَوْمَئِذٍۢ مُّسْفِرَةٌۭ ﴿٣٨﴾
অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে উজ্জ্বল,
অনেক মুখ সেইদিন হবে উজ্জ্বল,
وَوُجُوهٌۭ يَوْمَئِذٍ عَلَيْهَا غَبَرَةٌۭ ﴿٤٠﴾
এবং অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে ধুলি ধূসরিত।
আর সেইদিন অনেক মুখ -- তাদের উপরে ধূলো-বালি,
تَرْهَقُهَا قَتَرَةٌ ﴿٤١﴾
তাদেরকে কালিমা আচ্ছন্ন করে রাখবে।
কালো- আঁধার তাদের ঢেকে ফেলবে।
أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْكَفَرَةُ ٱلْفَجَرَةُ ﴿٤٢﴾
তারাই কাফের পাপিষ্ঠের দল।
এরা নিজেরাই সত্যপ্রত্যাখ্যানকারী, দুষ্কৃতিকারী।