Setting
Surah The Cleaving [AL-Infitar] in Bengali
وَإِذَا ٱلْكَوَاكِبُ ٱنتَثَرَتْ ﴿٢﴾
যখন নক্ষত্রসমূহ ঝরে পড়বে,
আর যখন নক্ষত্রসব বিক্ষিপ্ত হবে,
وَإِذَا ٱلْبِحَارُ فُجِّرَتْ ﴿٣﴾
যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে,
আর যখন সমুদ্রগুলো উচ্ছলিত হবে,
وَإِذَا ٱلْقُبُورُ بُعْثِرَتْ ﴿٤﴾
এবং যখন কবরসমূহ উম্মোচিত হবে,
আর যখন কবরগুলো উন্মোচিত হবে, --
عَلِمَتْ نَفْسٌۭ مَّا قَدَّمَتْ وَأَخَّرَتْ ﴿٥﴾
তখন প্রত্যেকে জেনে নিবে সে কি অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং কি পশ্চাতে ছেড়ে এসেছে।
তখন প্রত্যেকেই জানতে পারবে সে কী আগ-বাড়িয়েছে, আর কী সে পেছনে ফেলে রেখেছে।
يَٰٓأَيُّهَا ٱلْإِنسَٰنُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ ٱلْكَرِيمِ ﴿٦﴾
হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল?
ওহে মানব! কিসে তোমাকে ভুলিয়েছে তোমার মহানুভব প্রভুসন্বন্ধে --
ٱلَّذِى خَلَقَكَ فَسَوَّىٰكَ فَعَدَلَكَ ﴿٧﴾
যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন।
যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তোমাকে সুঠাম করেছেন, তারপর তোমাকে সুসমঞ্জস করেছেন, --
فِىٓ أَىِّ صُورَةٍۢ مَّا شَآءَ رَكَّبَكَ ﴿٨﴾
যিনি তোমাকে তাঁর ইচ্ছামত আকৃতিতে গঠন করেছেন।
যে আকৃতিতে তিনি চেয়েছেন সেইভাবে তিনি তোমাকে গঠন করেছেন?
كَلَّا بَلْ تُكَذِّبُونَ بِٱلدِّينِ ﴿٩﴾
কখনও বিভ্রান্ত হয়ো না; বরং তোমরা দান-প্রতিদানকে মিথ্যা মনে কর।
না, তোমরা বরং সদ্বিচারকেই মিথ্যারোপ করছ।
وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَٰفِظِينَ ﴿١٠﴾
অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে।
অথচ তোমাদের উপরে নিশ্চয়ই তত্ত্বাবধায়ক রয়েছে, --
إِنَّ ٱلْأَبْرَارَ لَفِى نَعِيمٍۢ ﴿١٣﴾
সৎকর্মশীলগণ থাকবে জান্নাতে।
ধার্মিকরা নিশ্চয় থাকবে আনন্দেরই মাঝে,
وَإِنَّ ٱلْفُجَّارَ لَفِى جَحِيمٍۢ ﴿١٤﴾
এবং দুষ্কর্মীরা থাকবে জাহান্নামে;
আর পাপাচারীরা আলবৎ থাকবে ভয়ংকর আগুনে, --
يَصْلَوْنَهَا يَوْمَ ٱلدِّينِ ﴿١٥﴾
তারা বিচার দিবসে তথায় প্রবেশ করবে।
তারা এতে প্রবেশ করবে বিচারের দিনে
وَمَا هُمْ عَنْهَا بِغَآئِبِينَ ﴿١٦﴾
তারা সেখান থেকে পৃথক হবে না।
আর তারা এর থেকে গরহাজির থাকতে পারবে না।
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا يَوْمُ ٱلدِّينِ ﴿١٧﴾
আপনি জানেন, বিচার দিবস কি?
আর কিসে তোমাকে বুঝতে দেবে কী সেই বিচারের দিন?
ثُمَّ مَآ أَدْرَىٰكَ مَا يَوْمُ ٱلدِّينِ ﴿١٨﴾
অতঃপর আপনি জানেন, বিচার দিবস কি?
পুনরায় কিসে তোমাকে বোঝানো যাবে বিচারের দিন কি?
يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسٌۭ لِّنَفْسٍۢ شَيْـًۭٔا ۖ وَٱلْأَمْرُ يَوْمَئِذٍۢ لِّلَّهِ ﴿١٩﴾
যেদিন কেউ কারও কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কতৃꦣ2468;্ব হবে আল্লাহর।
এ সেইদিন যেদিন কোনো সত্ত্বা কোনো আত্মার জন্যে কোনো-কিছু করার সামর্থ্য রাখবে না। আর কর্তৃত্ব সেইদিন হবে আল্লাহ্রই।