Settings
Surah Exile [Al-Hashr] in Bengali
سَبَّحَ لِلَّهِ مَا فِی ٱلسَّمَـٰوَ ٰتِ وَمَا فِی ٱلۡأَرۡضِۖ وَهُوَ ٱلۡعَزِیزُ ٱلۡحَكِیمُ ﴿1﴾
আল্লাহ্র মহিমা ঘোষণা করছে যা-কিছু আছে মহাকাশমন্ডলে ও যা-কিছু আছে পৃথিবীতে, আর তিনি মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।
هُوَ ٱلَّذِیۤ أَخۡرَجَ ٱلَّذِینَ كَفَرُوا۟ مِنۡ أَهۡلِ ٱلۡكِتَـٰبِ مِن دِیَـٰرِهِمۡ لِأَوَّلِ ٱلۡحَشۡرِۚ مَا ظَنَنتُمۡ أَن یَخۡرُجُوا۟ۖ وَظَنُّوۤا۟ أَنَّهُم مَّانِعَتُهُمۡ حُصُونُهُم مِّنَ ٱللَّهِ فَأَتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِنۡ حَیۡثُ لَمۡ یَحۡتَسِبُوا۟ۖ وَقَذَفَ فِی قُلُوبِهِمُ ٱلرُّعۡبَۚ یُخۡرِبُونَ بُیُوتَهُم بِأَیۡدِیهِمۡ وَأَیۡدِی ٱلۡمُؤۡمِنِینَ فَٱعۡتَبِرُوا۟ یَـٰۤأُو۟لِی ٱلۡأَبۡصَـٰرِ ﴿2﴾
তিনিই সেইজন যিনি গ্রন্থধারীদের মধ্যের যারা অবিশ্বাস পোষণ করেছিল তাদের বিতাড়িত করে দিয়েছিলেন তাদের বাড়িঘর থেকে প্রথমকার সমাবেশে। তোমরা ভাবো নি যে তারা বেরিয়ে যাবে, আর তারা ভেবেছিল যে তাদের দুর্গগুলি তাদের সংরক্ষণ করবে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে, কিন্ত আল্লাহ্ তাদের কাছে এসে পৌঁছেছিলেন এমন এক দিক থেকে যা তারা ধারণা করে নি, আর তিনি তাদের অন্তরে ভয় সঞ্চার করেছিলেন, তারা তাদের বাড়িঘর বিনষ্ট করেছিল তাদের নিজেদের হাত দিয়ে, আর মুমিনদের হাত দিয়ে। অতএব তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করো, হে চক্ষুষ্মান্ লোকেরা!
وَلَوۡلَاۤ أَن كَتَبَ ٱللَّهُ عَلَیۡهِمُ ٱلۡجَلَاۤءَ لَعَذَّبَهُمۡ فِی ٱلدُّنۡیَاۖ وَلَهُمۡ فِی ٱلۡـَٔاخِرَةِ عَذَابُ ٱلنَّارِ ﴿3﴾
আর যদি এ না হতো যে আল্লাহ্ তাদের জন্যে নির্বাসনের সিদ্ধান্ত করেছেন তাহলে তিনি অবশ্যই তাদের এই দুনিয়াতেই শাস্তি দিতেন। আর তাদের জন্য আখেরাতে রয়েছে আগুনের শাস্তি।
ذَ ٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ شَاۤقُّوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥۖ وَمَن یُشَاۤقِّ ٱللَّهَ فَإِنَّ ٱللَّهَ شَدِیدُ ٱلۡعِقَابِ ﴿4﴾
এ এইজন্য যে তারা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছিল, আর যে কেউ আল্লাহ্র বিরুদ্ধাচরণ করে, আল্লাহ্ তবে নিশ্চয়ই প্রতিফল দানে কঠোর।
مَا قَطَعۡتُم مِّن لِّینَةٍ أَوۡ تَرَكۡتُمُوهَا قَاۤىِٕمَةً عَلَىٰۤ أُصُولِهَا فَبِإِذۡنِ ٱللَّهِ وَلِیُخۡزِیَ ٱلۡفَـٰسِقِینَ ﴿5﴾
তোমরা যে-কতক খেজুর গাছ কেটে ফেলেছ অথবা যেগুলোকে তাদের শিকড়ের উপরে খাড়া রেখে দিয়েছ, তা তো আল্লাহ্রই অনুমতিক্রমে, আর যেন তিনি সত্যত্যাগীদের লাঞ্ছিত করতে পারেন।
وَمَاۤ أَفَاۤءَ ٱللَّهُ عَلَىٰ رَسُولِهِۦ مِنۡهُمۡ فَمَاۤ أَوۡجَفۡتُمۡ عَلَیۡهِ مِنۡ خَیۡلࣲ وَلَا رِكَابࣲ وَلَـٰكِنَّ ٱللَّهَ یُسَلِّطُ رُسُلَهُۥ عَلَىٰ مَن یَشَاۤءُۚ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَیۡءࣲ قَدِیرࣱ ﴿6﴾
আর যা-কিছু তাদের থেকে আল্লাহ্ তাঁর রসূলকে ফাও দিয়েছেন, যার জন্য তোমরা ধাওয়া করাও নি কোনো ঘোড়া, আর না কোনো উট, কিন্ত আল্লাহ্ তাঁর রসূলগণকে দখল দিয়ে থাকেন যার উপরে তিনি ইচ্ছা করে থাকেন। আর আল্লাহ্ সব-কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান।
مَّاۤ أَفَاۤءَ ٱللَّهُ عَلَىٰ رَسُولِهِۦ مِنۡ أَهۡلِ ٱلۡقُرَىٰ فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِی ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡیَتَـٰمَىٰ وَٱلۡمَسَـٰكِینِ وَٱبۡنِ ٱلسَّبِیلِ كَیۡ لَا یَكُونَ دُولَةَۢ بَیۡنَ ٱلۡأَغۡنِیَاۤءِ مِنكُمۡۚ وَمَاۤ ءَاتَىٰكُمُ ٱلرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَىٰكُمۡ عَنۡهُ فَٱنتَهُوا۟ۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِیدُ ٱلۡعِقَابِ ﴿7﴾
আল্লাহ্ তাঁর রসূলকে জনপদবাসীর নিকট থেকে যা-কিছু ফাও দিয়েছেন তা কিন্ত আল্লাহ্র জন্য, আর রসূলের জন্য, আর নিকট- আত্মীয়দের জন্য, আর এতীমদের ও নিঃস্বদের ও পথচারীদের জন্য, যাতে তা তোমাদের মধ্যেকার ধনীদের মধ্যেই ঘোরাঘুরির বস্তু না হয়। আর রসূল যা-কিছু তোমাদের দেন তা তবে গ্রহণ করো, আর যা-কিছু তিনি নিষেধ করেন তোমরা বিরত থাকো। আর আল্লাহ্কে ভয়ভক্তি করো, নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ প্রতিফল দানে কঠোর।
لِلۡفُقَرَاۤءِ ٱلۡمُهَـٰجِرِینَ ٱلَّذِینَ أُخۡرِجُوا۟ مِن دِیَـٰرِهِمۡ وَأَمۡوَ ٰلِهِمۡ یَبۡتَغُونَ فَضۡلࣰا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَ ٰنࣰا وَیَنصُرُونَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥۤۚ أُو۟لَـٰۤىِٕكَ هُمُ ٱلصَّـٰدِقُونَ ﴿8﴾
সেইসব দরিদ্র মুহাজিরদের জন্য যাদের বের করে দেওয়া হয়েছিল তাদের বাড়িঘর ও তাদের বিষয়-সম্পত্তি থেকে, যারা কামনা করছিল আল্লাহ্র কাছ থেকে অনুগ্রহ-প্রাচুর্য ও সন্তষ্টি, এবং সাহায্য করছিল আল্লাহ্কে ও তাঁর রসূলকে। এরাই খোদ সত্যপরায়ণ।
وَٱلَّذِینَ تَبَوَّءُو ٱلدَّارَ وَٱلۡإِیمَـٰنَ مِن قَبۡلِهِمۡ یُحِبُّونَ مَنۡ هَاجَرَ إِلَیۡهِمۡ وَلَا یَجِدُونَ فِی صُدُورِهِمۡ حَاجَةࣰ مِّمَّاۤ أُوتُوا۟ وَیُؤۡثِرُونَ عَلَىٰۤ أَنفُسِهِمۡ وَلَوۡ كَانَ بِهِمۡ خَصَاصَةࣱۚ وَمَن یُوقَ شُحَّ نَفۡسِهِۦ فَأُو۟لَـٰۤىِٕكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ﴿9﴾
আর যারা তাদের পূর্বেই বাড়িঘর ও ধর্মবিশ্বাস সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিল তারা ভালবাসে তাদের যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে, আর তারা তাদের অন্তরে কোনো প্রয়োজন বোধ করে না তাদের যা দেওয়া হয়েছে তার জন্য, আর তারা তাদের নিজেদের চেয়েও অগ্রাধিকার দেয় যদিও বা তারা স্বয়ং অভাবগ্রস্ত রয়েছে। আর যে কেউ তার অন্তরের কৃপণতা থেকে মুক্ত রেখেছে তারাই তাহলে খোদ সফলকাম।
وَٱلَّذِینَ جَاۤءُو مِنۢ بَعۡدِهِمۡ یَقُولُونَ رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لَنَا وَلِإِخۡوَ ٰنِنَا ٱلَّذِینَ سَبَقُونَا بِٱلۡإِیمَـٰنِ وَلَا تَجۡعَلۡ فِی قُلُوبِنَا غِلࣰّا لِّلَّذِینَ ءَامَنُوا۟ رَبَّنَاۤ إِنَّكَ رَءُوفࣱ رَّحِیمٌ ﴿10﴾
আর যারা তাদের পরে এসেছিল তারা বলে -- ''আমাদের প্রভু! আমাদের পরিত্রাণ করো আর আমাদের ভাই-বন্ধুদের যারা ধর্মবিশ্বাসে আমাদের অগ্রবর্তী রয়েছেন, আর আমাদের অন্তরে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ রেখো না তাদের প্রতি যারা ঈমান এনেছেন; আমাদের প্রভু! তুমিই নিশ্চয় পরম স্নেহময়, অফুরন্ত ফলদাতা।’’
۞ أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِینَ نَافَقُوا۟ یَقُولُونَ لِإِخۡوَ ٰنِهِمُ ٱلَّذِینَ كَفَرُوا۟ مِنۡ أَهۡلِ ٱلۡكِتَـٰبِ لَىِٕنۡ أُخۡرِجۡتُمۡ لَنَخۡرُجَنَّ مَعَكُمۡ وَلَا نُطِیعُ فِیكُمۡ أَحَدًا أَبَدࣰا وَإِن قُوتِلۡتُمۡ لَنَنصُرَنَّكُمۡ وَٱللَّهُ یَشۡهَدُ إِنَّهُمۡ لَكَـٰذِبُونَ ﴿11﴾
তুমি কি তাদের দেখ নি যারা কপটাচরণ করছে, -- তারা গ্রন্থধারীদের মধ্যের যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তাদের তেমন ভাই- বন্ধুদের বলে -- ''তোমাদের যদি বের করে দেওয়া হয় তাহলে আমরাও নিশ্চয়ই তোমাদের সঙ্গে বেরিয়ে যাব, আর তোমাদের ব্যাপারে আমরা কারোর তাবেদারি কখনো করব না, আর তোমাদের সঙ্গে যদি যুদ্ধ করা হয় তাহলে আমরা নিশ্চয়ই তোমাদের সাহায্য করব’’? আর আল্লাহ্ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে তারা নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদী।
لَىِٕنۡ أُخۡرِجُوا۟ لَا یَخۡرُجُونَ مَعَهُمۡ وَلَىِٕن قُوتِلُوا۟ لَا یَنصُرُونَهُمۡ وَلَىِٕن نَّصَرُوهُمۡ لَیُوَلُّنَّ ٱلۡأَدۡبَـٰرَ ثُمَّ لَا یُنصَرُونَ ﴿12﴾
যদি তাদের বহিস্কার করা হয়, তারা তাদের সঙ্গে বেরুবে না, আর যদি তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করা হয় তাহলে তারা তাদের সাহায্য করবে না, আর যদিও তারা তাদের সাহায্য করতে আসে তাহলেও তারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে, শেষপর্যন্ত তাদের সাহায্য করা হবে না।
لَأَنتُمۡ أَشَدُّ رَهۡبَةࣰ فِی صُدُورِهِم مِّنَ ٱللَّهِۚ ذَ ٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ قَوۡمࣱ لَّا یَفۡقَهُونَ ﴿13﴾
তোমরাই বরং তাদের অন্তরে আল্লাহ্র চাইতেও অধিকতর ভয়াবহ। এ এইজন্য যে তারা হচ্ছে এমন এক লোকদল যারা বুদ্ধি- বিবেচনা রাখে না।
لَا یُقَـٰتِلُونَكُمۡ جَمِیعًا إِلَّا فِی قُرࣰى مُّحَصَّنَةٍ أَوۡ مِن وَرَاۤءِ جُدُرِۭۚ بَأۡسُهُم بَیۡنَهُمۡ شَدِیدࣱۚ تَحۡسَبُهُمۡ جَمِیعࣰا وَقُلُوبُهُمۡ شَتَّىٰۚ ذَ ٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ قَوۡمࣱ لَّا یَعۡقِلُونَ ﴿14﴾
তারা সংঘবদ্ধ হয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না সুরক্ষিত জন-বসতির ভেতরে অথবা দেওয়াল দুর্গের আড়াল থেকে ব্যতীত। তাদের নিজেদের মধ্যে তাদের সংঘর্ষ অতি প্রচন্ড। তুমি তাদের ভাবতে পার ঐক্যবদ্ধ, কিন্ত তাদের অন্তর হচ্ছে বিচ্ছিন্ন। এ এইজন্য যে তারা হচ্ছে এমন এক জাতি যারা বুদ্ধিশুদ্ধি রাখে না।
كَمَثَلِ ٱلَّذِینَ مِن قَبۡلِهِمۡ قَرِیبࣰاۖ ذَاقُوا۟ وَبَالَ أَمۡرِهِمۡ وَلَهُمۡ عَذَابٌ أَلِیمࣱ ﴿15﴾
এরা তাদের মতো যারা এদের অব্যবহিত পূর্বে অবস্থান করছিল, -- তারা তাদের কৃতকর্মের কুফল আস্বাদন করেছিল, আর তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।
كَمَثَلِ ٱلشَّیۡطَـٰنِ إِذۡ قَالَ لِلۡإِنسَـٰنِ ٱكۡفُرۡ فَلَمَّا كَفَرَ قَالَ إِنِّی بَرِیۤءࣱ مِّنكَ إِنِّیۤ أَخَافُ ٱللَّهَ رَبَّ ٱلۡعَـٰلَمِینَ ﴿16﴾
শয়তানের সমতুল্য, দেখো! সে মানুষকে বলে -- ''অবিশ্বাস করো’’, তারপর যখন সে অবিশ্বাস করে তখন সে বলে -- ''আমি নিশ্চয়ই তোমার থেকে সম্পর্কচ্যুত, আমি অবশ্যই বিশ্বজগতের প্রভু আল্লাহ্কে ভয় করি।’’
فَكَانَ عَـٰقِبَتَهُمَاۤ أَنَّهُمَا فِی ٱلنَّارِ خَـٰلِدَیۡنِ فِیهَاۚ وَذَ ٰلِكَ جَزَ ٰۤؤُا۟ ٱلظَّـٰلِمِینَ ﴿17﴾
সুতরাং তাদের উভয়ের পরিণাম এই যে উভয়েই থাকবে আগুনে, তারা সেখানে দীর্ঘকাল অবস্থান করবে। আর এই হচ্ছে অন্যায়াচারীদের প্রতিফল।
یَـٰۤأَیُّهَا ٱلَّذِینَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَلۡتَنظُرۡ نَفۡسࣱ مَّا قَدَّمَتۡ لِغَدࣲۖ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِیرُۢ بِمَا تَعۡمَلُونَ ﴿18﴾
ওহে যারা ঈমান এনেছ! আল্লাহ্কে ভয়-ভক্তি করো, আর প্রত্যেকেই ভেবে দেখুক কী সে আগবাড়াচ্ছে আগামীকালের জন্য, আর আল্লাহ্কে ভয়ভক্তি করো। নিঃসন্দেহ তোমরা যা করছ আল্লাহ্ সে-সন্বন্ধে পূর্ণ-ওয়াকিফহাল।
وَلَا تَكُونُوا۟ كَٱلَّذِینَ نَسُوا۟ ٱللَّهَ فَأَنسَىٰهُمۡ أَنفُسَهُمۡۚ أُو۟لَـٰۤىِٕكَ هُمُ ٱلۡفَـٰسِقُونَ ﴿19﴾
আর তোমরা তাদের মতো হয়ো না যারা আল্লাহ্কে ভুলে যায়, ফলে তিনি তাদের ভুলিয়ে দিয়ে থাকেন তাদের নিজেদের সন্বন্ধে। তারাই স্বয়ং সত্যত্যাগী।
لَا یَسۡتَوِیۤ أَصۡحَـٰبُ ٱلنَّارِ وَأَصۡحَـٰبُ ٱلۡجَنَّةِۚ أَصۡحَـٰبُ ٱلۡجَنَّةِ هُمُ ٱلۡفَاۤىِٕزُونَ ﴿20﴾
আগুনের বাসিন্দারা ও জান্নাতের বাসিন্দারা একসমান নয়। জান্নাতের অধিবাসীরাই স্বয়ং সফলকাম।
لَوۡ أَنزَلۡنَا هَـٰذَا ٱلۡقُرۡءَانَ عَلَىٰ جَبَلࣲ لَّرَأَیۡتَهُۥ خَـٰشِعࣰا مُّتَصَدِّعࣰا مِّنۡ خَشۡیَةِ ٱللَّهِۚ وَتِلۡكَ ٱلۡأَمۡثَـٰلُ نَضۡرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمۡ یَتَفَكَّرُونَ ﴿21﴾
আমরা যদি এই কুরআনকে কোনো পাহাড়ের উপরে অবতীর্ণ করতাম তাহলে তুমি দেখতে পেতে আল্লাহ্র ভয়ে তা নুইয়ে পড়েছে, ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। আর এই উপমা -- আমরা এটি লোকেদের জন্য বিবৃত করছি যেন তারা চিন্তা করে।
هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِی لَاۤ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَۖ عَـٰلِمُ ٱلۡغَیۡبِ وَٱلشَّهَـٰدَةِۖ هُوَ ٱلرَّحۡمَـٰنُ ٱلرَّحِیمُ ﴿22﴾
তিনিই সেই আল্লাহ্ যিনি ব্যতীত অন্য উপাস্য নেই, তিনি অদৃশ্যের ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। তিনি পরম করুণাময়, অফুরন্ত ফলদাতা।
هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِی لَاۤ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡمَلِكُ ٱلۡقُدُّوسُ ٱلسَّلَـٰمُ ٱلۡمُؤۡمِنُ ٱلۡمُهَیۡمِنُ ٱلۡعَزِیزُ ٱلۡجَبَّارُ ٱلۡمُتَكَبِّرُۚ سُبۡحَـٰنَ ٱللَّهِ عَمَّا یُشۡرِكُونَ ﴿23﴾
তিনিই সেই আল্লাহ্ যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, -- রাজাধিরাজ, মহাপবিত্র, প্রশান্তিদাতা, নিরাপত্তা-বিধায়ক, সুরক্ষক, মহাশক্তিশালী, মহামহিম, পরম গেরবান্নিত। সকল মহিমা আল্লাহ্র, তারা যা আরোপ করে তার বহু উর্ধ্বে।
هُوَ ٱللَّهُ ٱلۡخَـٰلِقُ ٱلۡبَارِئُ ٱلۡمُصَوِّرُۖ لَهُ ٱلۡأَسۡمَاۤءُ ٱلۡحُسۡنَىٰۚ یُسَبِّحُ لَهُۥ مَا فِی ٱلسَّمَـٰوَ ٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ وَهُوَ ٱلۡعَزِیزُ ٱلۡحَكِیمُ ﴿24﴾
তিনি আল্লাহ্, সৃজনকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, তাঁরই হচ্ছে সর্বাঙ্গসুন্দর নামাবলী। মহাকাশমন্ডলে ও পৃথিবীতে যারা আছে তারা তাঁরই জপতপ করে, আর তিনি মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।