Settings
Surah She that is to be examined [Al-Mumtahina] in Bengali
یَـٰۤأَیُّهَا ٱلَّذِینَ ءَامَنُوا۟ لَا تَتَّخِذُوا۟ عَدُوِّی وَعَدُوَّكُمۡ أَوۡلِیَاۤءَ تُلۡقُونَ إِلَیۡهِم بِٱلۡمَوَدَّةِ وَقَدۡ كَفَرُوا۟ بِمَا جَاۤءَكُم مِّنَ ٱلۡحَقِّ یُخۡرِجُونَ ٱلرَّسُولَ وَإِیَّاكُمۡ أَن تُؤۡمِنُوا۟ بِٱللَّهِ رَبِّكُمۡ إِن كُنتُمۡ خَرَجۡتُمۡ جِهَـٰدࣰا فِی سَبِیلِی وَٱبۡتِغَاۤءَ مَرۡضَاتِیۚ تُسِرُّونَ إِلَیۡهِم بِٱلۡمَوَدَّةِ وَأَنَا۠ أَعۡلَمُ بِمَاۤ أَخۡفَیۡتُمۡ وَمَاۤ أَعۡلَنتُمۡۚ وَمَن یَفۡعَلۡهُ مِنكُمۡ فَقَدۡ ضَلَّ سَوَاۤءَ ٱلسَّبِیلِ ﴿1﴾
ওহে যারা ঈমান এনেছ! আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তোমরা কি তাদের প্রতি বন্ধুত্বের প্রস্তাব করবে, অথচ সত্যের যা-কিছু তোমাদের কাছে এসেছে তাতে তারা অবিশ্বাস করেছে, তারা রসূলকে ও তোমাদের বহিস্কার করে দিয়েছে যেহেতু তোমরা তোমাদের প্রভু আল্লাহ্তে বিশ্বাস কর। যদি তোমরা বেরিয়ে থাক আমার পথে সংগ্রাম করতে ও আমার প্রসন্নতা লাভের প্রত্যাশায়, তবে কি তোমরা তাদের প্রতি গোপনভাবেও বন্ধুত্ব দেখাবে, অথচ আমি ভাল জানি যা তোমরা গোপন রেখেছ এবং যা তোমরা প্রকাশ করছ? আর তোমাদের মধ্যে যে কেউ এটি করে সে তো তবে সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে।
إِن یَثۡقَفُوكُمۡ یَكُونُوا۟ لَكُمۡ أَعۡدَاۤءࣰ وَیَبۡسُطُوۤا۟ إِلَیۡكُمۡ أَیۡدِیَهُمۡ وَأَلۡسِنَتَهُم بِٱلسُّوۤءِ وَوَدُّوا۟ لَوۡ تَكۡفُرُونَ ﴿2﴾
যদি তারা তোমাদের কাবু করতে পারে তাহলে তারা তোমাদের শত্রু হয়ে পড়ে এবং তোমাদের প্রতি তাদের হাত ও তাদের জিহবা তারা প্রসারিত করে মন্দভাবে, আর তারা চায় যে তোমারাও যেন অবিশ্বাস কর।
لَن تَنفَعَكُمۡ أَرۡحَامُكُمۡ وَلَاۤ أَوۡلَـٰدُكُمۡۚ یَوۡمَ ٱلۡقِیَـٰمَةِ یَفۡصِلُ بَیۡنَكُمۡۚ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ بَصِیرࣱ ﴿3﴾
তোমাদের রক্ত-সম্পর্কীয় আত্মীয়-স্বজন তোমাদের কোনো উপকারে আসবে না আর তোমাদের সন্তানসন্ততিরাও না -- কিয়ামতের দিনে, তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন। আর তোমরা যা করছ সে-সন্বন্ধে আল্লাহ্ সম্যক দ্রষ্টা।
قَدۡ كَانَتۡ لَكُمۡ أُسۡوَةٌ حَسَنَةࣱ فِیۤ إِبۡرَ ٰهِیمَ وَٱلَّذِینَ مَعَهُۥۤ إِذۡ قَالُوا۟ لِقَوۡمِهِمۡ إِنَّا بُرَءَ ٰۤ ؤُا۟ مِنكُمۡ وَمِمَّا تَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ كَفَرۡنَا بِكُمۡ وَبَدَا بَیۡنَنَا وَبَیۡنَكُمُ ٱلۡعَدَ ٰوَةُ وَٱلۡبَغۡضَاۤءُ أَبَدًا حَتَّىٰ تُؤۡمِنُوا۟ بِٱللَّهِ وَحۡدَهُۥۤ إِلَّا قَوۡلَ إِبۡرَ ٰهِیمَ لِأَبِیهِ لَأَسۡتَغۡفِرَنَّ لَكَ وَمَاۤ أَمۡلِكُ لَكَ مِنَ ٱللَّهِ مِن شَیۡءࣲۖ رَّبَّنَا عَلَیۡكَ تَوَكَّلۡنَا وَإِلَیۡكَ أَنَبۡنَا وَإِلَیۡكَ ٱلۡمَصِیرُ ﴿4﴾
তোমাদের জন্য নিশ্চয়ই উত্তম আদর্শ রয়েছে ইব্রাহীমের ও তাঁর সঙ্গে যারা ছিল তাদের মধ্যে -- যখন তারা তাদের লোকদলকে বলেছিল -- ''নিশ্চয় আমরা দায়শূন্য তোমাদের থেকে, আর আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে তোমরা যার উপাসনা কর তার থেকে, আমরা তোমাদের প্রত্যাখ্যান করেছি, কাজেই আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও হিংসা-বিদ্বেষ চিরদিনের জন্য শুরু হয়েছে যতক্ষণ না তোমরা আল্লাহ্তে -- তাঁর একত্বে-- বিশ্বাস না কর।’’ তবে তাঁর পিতৃপুরুষের প্রতি ইব্রাহীমের বক্তব্য ছিল -- ''আমি নিশ্চয় তোমার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করব, আর আল্লাহ্র কাছ থেকে তোমার জন্য অন্য কোনো কিছুতে আমার ক্ষমতা নেই।’’ ''আমাদের প্রভু! তোমার উপরেই আমরা নির্ভর করছি, আর তোমারই কাছে আমরা ফিরছি, আর তোমার কাছেই তো প্রত্যাবর্তন।
رَبَّنَا لَا تَجۡعَلۡنَا فِتۡنَةࣰ لِّلَّذِینَ كَفَرُوا۟ وَٱغۡفِرۡ لَنَا رَبَّنَاۤۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلۡعَزِیزُ ٱلۡحَكِیمُ ﴿5﴾
''আমাদের প্রভু! আমাদের তাদের শিকার বানিয়ো না যারা অবিশ্বাস পোষণ করে, আর, আমাদের প্রভু! আমাদের পরিত্রাণ করো, নিঃসন্দেহ তুমি, তুমিই তো মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।’’
لَقَدۡ كَانَ لَكُمۡ فِیهِمۡ أُسۡوَةٌ حَسَنَةࣱ لِّمَن كَانَ یَرۡجُوا۟ ٱللَّهَ وَٱلۡیَوۡمَ ٱلۡـَٔاخِرَۚ وَمَن یَتَوَلَّ فَإِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡغَنِیُّ ٱلۡحَمِیدُ ﴿6﴾
তোমাদের পক্ষে নিশ্চয়ই তাঁদের মধ্যে একটি উত্তম আদর্শ রয়েছে তার জন্য যে আল্লাহ্তে ও শেষ দিনে আশা-ভরসা রাখে। আর যে কেউ ফিরে যায় তবে নিশ্চয় আল্লাহ্ -- তিনি স্বয়ংসমৃদ্ধ, চির-প্রশংসিত।
۞ عَسَى ٱللَّهُ أَن یَجۡعَلَ بَیۡنَكُمۡ وَبَیۡنَ ٱلَّذِینَ عَادَیۡتُم مِّنۡهُم مَّوَدَّةࣰۚ وَٱللَّهُ قَدِیرࣱۚ وَٱللَّهُ غَفُورࣱ رَّحِیمࣱ ﴿7﴾
হতে পারে যে আল্লাহ্ তোমাদের মধ্যে ও যাদের সঙ্গে তোমরা শত্রুতা করছ তাদের কারো-কারোর মধ্যে বন্ধুত্ব ঘটিয়ে দেবেন। কেননা আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান। আর আল্লাহ্ পরিত্রাণকারী, অফুরন্ত ফলদাতা।
لَّا یَنۡهَىٰكُمُ ٱللَّهُ عَنِ ٱلَّذِینَ لَمۡ یُقَـٰتِلُوكُمۡ فِی ٱلدِّینِ وَلَمۡ یُخۡرِجُوكُم مِّن دِیَـٰرِكُمۡ أَن تَبَرُّوهُمۡ وَتُقۡسِطُوۤا۟ إِلَیۡهِمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ یُحِبُّ ٱلۡمُقۡسِطِینَ ﴿8﴾
আল্লাহ্ তোমাদের নিষেধ করছেন না যে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে ধর্মের কারণে যুদ্ধ করে নি এবং তোমাদের বাড়িঘর থেকে তোমাদের তাড়িয়ে দেয় নি, তাদের সঙ্গে তোমরা সদয় ব্যবহার করবে এবং তাদের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হবে। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ ন্যায়পরায়ণদের ভালবাসেন।
إِنَّمَا یَنۡهَىٰكُمُ ٱللَّهُ عَنِ ٱلَّذِینَ قَـٰتَلُوكُمۡ فِی ٱلدِّینِ وَأَخۡرَجُوكُم مِّن دِیَـٰرِكُمۡ وَظَـٰهَرُوا۟ عَلَىٰۤ إِخۡرَاجِكُمۡ أَن تَوَلَّوۡهُمۡۚ وَمَن یَتَوَلَّهُمۡ فَأُو۟لَـٰۤىِٕكَ هُمُ ٱلظَّـٰلِمُونَ ﴿9﴾
আল্লাহ্ কেবল তাদের সন্বন্ধে তোমাদের নিষেধ করছেন যারা ধর্মের কারণে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে ও তোমাদের বাড়িঘর থেকে তোমাদের তাড়িয়ে দিয়েছে এবং পৃষ্ঠপোষকতা করেছে তোমাদের বহিস্কারের ব্যাপারে, -- যে তোমরা তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতবে। আর যে কেউ তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতবে তারাই তো তবে স্বয়ং অন্যায়কারী।
یَـٰۤأَیُّهَا ٱلَّذِینَ ءَامَنُوۤا۟ إِذَا جَاۤءَكُمُ ٱلۡمُؤۡمِنَـٰتُ مُهَـٰجِرَ ٰتࣲ فَٱمۡتَحِنُوهُنَّۖ ٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِإِیمَـٰنِهِنَّۖ فَإِنۡ عَلِمۡتُمُوهُنَّ مُؤۡمِنَـٰتࣲ فَلَا تَرۡجِعُوهُنَّ إِلَى ٱلۡكُفَّارِۖ لَا هُنَّ حِلࣱّ لَّهُمۡ وَلَا هُمۡ یَحِلُّونَ لَهُنَّۖ وَءَاتُوهُم مَّاۤ أَنفَقُوا۟ۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَیۡكُمۡ أَن تَنكِحُوهُنَّ إِذَاۤ ءَاتَیۡتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّۚ وَلَا تُمۡسِكُوا۟ بِعِصَمِ ٱلۡكَوَافِرِ وَسۡـَٔلُوا۟ مَاۤ أَنفَقۡتُمۡ وَلۡیَسۡـَٔلُوا۟ مَاۤ أَنفَقُوا۟ۚ ذَ ٰلِكُمۡ حُكۡمُ ٱللَّهِ یَحۡكُمُ بَیۡنَكُمۡۖ وَٱللَّهُ عَلِیمٌ حَكِیمࣱ ﴿10﴾
ওহে যারা ঈমান এনেছ! যখন বিশ্বাসিনী নারীরা দেশত্যাগী হয়ে তোমাদের কাছে আসে তখন তাদের পরীক্ষা করে দেখো। আল্লাহ্ ভাল জানেন তাদের ধর্মবিশ্বাস সন্বন্ধে। তারপর যদি তোমরা জানতে পার যে তারা বিশ্বাসিনী তাহলে তাদের ফেরত পাঠিয়ো না অবিশ্বাসীদের নিকটে। এরা তাদের জন্য বৈধ নয়, আর তারাও এদের জন্য বৈধ নয়। আর তাদের দিয়ে দাও যা তারা খরচ করেছে। আর তোমাদের উপরে কোনো দোষ বর্তাবে না যদি তোমরা তাদের বিবাহ কর যখন তাদের মহরানা তোমরা তাদের আদায় কর। আর তোমরা অবিশ্বাসিনীদের বিবাহ-বন্ধন ধরে রেখো না, আর তোমরা যা খরচ করেছ তা ফেরত চাইবে, আর তারাও ফেরত চাক যা তারা খরচ করেছে। এইটিই আল্লাহ্র বিধান। তিনি তোমাদের মধ্যে সুবিচার করে থাকেন, কেননা আল্লাহ্ই তো সর্বজ্ঞাতা, পরমজ্ঞানী।
وَإِن فَاتَكُمۡ شَیۡءࣱ مِّنۡ أَزۡوَ ٰجِكُمۡ إِلَى ٱلۡكُفَّارِ فَعَاقَبۡتُمۡ فَـَٔاتُوا۟ ٱلَّذِینَ ذَهَبَتۡ أَزۡوَ ٰجُهُم مِّثۡلَ مَاۤ أَنفَقُوا۟ۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ ٱلَّذِیۤ أَنتُم بِهِۦ مُؤۡمِنُونَ ﴿11﴾
আর তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে থেকে যদি কিছু অবিশ্বাসীদের কাছে তোমাদের হাতছাড়া হয়ে যায়, তারপর যদি তোমাদেরও সুযোগ আসে তাহলে যাদের স্ত্রীরা চলে গেছে তাদের প্রদান করো তারা যা খরচ করেছিল তার সমতুল্য। আর আল্লাহ্কে ভয়ভক্তি করো যাঁর প্রতি তোমরা বিশ্বাসী হয়েছ।
یَـٰۤأَیُّهَا ٱلنَّبِیُّ إِذَا جَاۤءَكَ ٱلۡمُؤۡمِنَـٰتُ یُبَایِعۡنَكَ عَلَىٰۤ أَن لَّا یُشۡرِكۡنَ بِٱللَّهِ شَیۡـࣰٔا وَلَا یَسۡرِقۡنَ وَلَا یَزۡنِینَ وَلَا یَقۡتُلۡنَ أَوۡلَـٰدَهُنَّ وَلَا یَأۡتِینَ بِبُهۡتَـٰنࣲ یَفۡتَرِینَهُۥ بَیۡنَ أَیۡدِیهِنَّ وَأَرۡجُلِهِنَّ وَلَا یَعۡصِینَكَ فِی مَعۡرُوفࣲ فَبَایِعۡهُنَّ وَٱسۡتَغۡفِرۡ لَهُنَّ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورࣱ رَّحِیمࣱ ﴿12﴾
হে প্রিয় নবী! যখন বিশ্বাসিনী নারীরা তোমার কাছে আসে তোমার নিকট আনুগত্যের শপথ ক’রে যে তারা আল্লাহ্র সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করবে না, আর চুরি করবে না, আর ব্যভিচার করবে না, আর তাদের সন্তানদের তারা হত্যা করবে না, আর তারা এমন কোনো মিথ্যা কলঙ্ক রটনা করবে না যা তাদের হাতের ও তাদের পায়ের মধ্যে তারা উদ্ভাবন করে, আর সৎকাজে তারা তোমার অবাধ্যতা করবে না, -- তেমন ক্ষেত্রে তাদের আনুগত্য গ্রহণ করো এবং আল্লাহ্র কাছে তাদের জন্য পরিত্রাণ খুঁজো। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ পরিত্রাণকারী, অফুরন্ত ফলদাতা।
یَـٰۤأَیُّهَا ٱلَّذِینَ ءَامَنُوا۟ لَا تَتَوَلَّوۡا۟ قَوۡمًا غَضِبَ ٱللَّهُ عَلَیۡهِمۡ قَدۡ یَىِٕسُوا۟ مِنَ ٱلۡـَٔاخِرَةِ كَمَا یَىِٕسَ ٱلۡكُفَّارُ مِنۡ أَصۡحَـٰبِ ٱلۡقُبُورِ ﴿13﴾
ওহে যারা ঈমান এনেছ! সেই লোকদলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করো না যাদের প্রতি আল্লাহ্ ত্রুদ্ধ হয়েছেন, -- যারা পরকাল সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়েছে, যেমন অবিশ্বাসীরা কবরের বাসিন্দাদের সন্বন্ধে হতাশ রয়েছে।