Settings
Surah The Jinn [Al-Jinn] in Bengali
قُلۡ أُوحِیَ إِلَیَّ أَنَّهُ ٱسۡتَمَعَ نَفَرࣱ مِّنَ ٱلۡجِنِّ فَقَالُوۤا۟ إِنَّا سَمِعۡنَا قُرۡءَانًا عَجَبࣰا ﴿1﴾
বলো -- ''আমার কাছে প্রত্যাদেশ করা হয়েছে যে জিনদের একটি দল শুনেছিল, এবং বলেছিল -- 'আমরা নিশ্চয় এক আশ্চর্যজনক কুরআন শুনেছি,
یَهۡدِیۤ إِلَى ٱلرُّشۡدِ فَـَٔامَنَّا بِهِۦۖ وَلَن نُّشۡرِكَ بِرَبِّنَاۤ أَحَدࣰا ﴿2﴾
'যা সুষ্ঠুপথের দিকে চালনা করে, তাই আমরা তাতে ঈমান এনেছি, আর আমরা কখনো আমাদের প্রভুর সাথে কাউকেও শরিক করব না,
وَأَنَّهُۥ تَعَـٰلَىٰ جَدُّ رَبِّنَا مَا ٱتَّخَذَ صَـٰحِبَةࣰ وَلَا وَلَدࣰا ﴿3﴾
'আর তিনি, -- সুউন্নত হোক আমাদের প্রভুর মহিমা, -- তিনি কোনো সহচরী গ্রহণ করেন নি, আর না কোনো সন্তান,
وَأَنَّهُۥ كَانَ یَقُولُ سَفِیهُنَا عَلَى ٱللَّهِ شَطَطࣰا ﴿4﴾
'আর এই যে আমাদের মধ্যের নির্বোধেরা আল্লাহ্ সন্বন্ধে অমূলক কথা বলত,
وَأَنَّا ظَنَنَّاۤ أَن لَّن تَقُولَ ٱلۡإِنسُ وَٱلۡجِنُّ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبࣰا ﴿5﴾
'আর এই যে আমরা ভেবেছিলাম যে মানুষ ও জিন আল্লাহ্ সন্বন্ধে কখনো মিথ্যাকথা বলবে না’,
وَأَنَّهُۥ كَانَ رِجَالࣱ مِّنَ ٱلۡإِنسِ یَعُوذُونَ بِرِجَالࣲ مِّنَ ٱلۡجِنِّ فَزَادُوهُمۡ رَهَقࣰا ﴿6﴾
''আর এই যে মানুষের মধ্যের কিছু লোক জিনজাতির কিছু লোকের আশ্রয় নিত, ফলে ওরা তাদের পাপাচার বাড়িয়ে দিত,
وَأَنَّهُمۡ ظَنُّوا۟ كَمَا ظَنَنتُمۡ أَن لَّن یَبۡعَثَ ٱللَّهُ أَحَدࣰا ﴿7﴾
''আর এই যে তারা ভেবেছিল যেমন তোমরা ভাবছো যে আল্লাহ্ কাউকেও পুনরুত্থিত করবেন না,
وَأَنَّا لَمَسۡنَا ٱلسَّمَاۤءَ فَوَجَدۡنَـٰهَا مُلِئَتۡ حَرَسࣰا شَدِیدࣰا وَشُهُبࣰا ﴿8﴾
''আর 'আমরা আকাশে আড়ি পাততাম, কিন্ত আমরা তাকে দেখতে পেতাম কড়া প্রহরী ও অগ্নিশিখা দিয়ে ভরপূর,
وَأَنَّا كُنَّا نَقۡعُدُ مِنۡهَا مَقَـٰعِدَ لِلسَّمۡعِۖ فَمَن یَسۡتَمِعِ ٱلۡـَٔانَ یَجِدۡ لَهُۥ شِهَابࣰا رَّصَدࣰا ﴿9﴾
'আর আমরা নিশ্চয় তার মধ্যের বসবার জায়গাগুলোয় বসে থাকতাম গুনবার জন্য, কিন্ত যে কেউ শুনতে চায় সে এখন দেখতে পায় তার জন্য রয়েছে অগ্নিশিখা অপেক্ষারত;
وَأَنَّا لَا نَدۡرِیۤ أَشَرٌّ أُرِیدَ بِمَن فِی ٱلۡأَرۡضِ أَمۡ أَرَادَ بِهِمۡ رَبُّهُمۡ رَشَدࣰا ﴿10﴾
'আর আমরা অবশ্য জানি না -- পৃথিবীতে যারা রয়েছে তাদের জন্য অমঙ্গল কামনা করা হচ্ছে, না এ-সবের দ্বারা তাদের প্রভু সুষ্ঠুপথের দিশা চাইছেন;
وَأَنَّا مِنَّا ٱلصَّـٰلِحُونَ وَمِنَّا دُونَ ذَ ٰلِكَۖ كُنَّا طَرَاۤىِٕقَ قِدَدࣰا ﴿11﴾
'আর নিশ্চয় আমাদের কেউ-কেউ সৎপথাবলন্বী আর আমাদের অন্যেরা এর বিপরীত। আমরা বিভিন্ন সম্প্রদায় বিভিন্ন পন্থী;
وَأَنَّا ظَنَنَّاۤ أَن لَّن نُّعۡجِزَ ٱللَّهَ فِی ٱلۡأَرۡضِ وَلَن نُّعۡجِزَهُۥ هَرَبࣰا ﴿12﴾
'আর আমরা বুঝি যে আমরা দুনিয়াতে কখনো আল্লাহ্কে পরাভূত করতে পারব না এবং পলায়নের দ্বারাও তাঁকে কখনও এড়াতে পারব না,
وَأَنَّا لَمَّا سَمِعۡنَا ٱلۡهُدَىٰۤ ءَامَنَّا بِهِۦۖ فَمَن یُؤۡمِنۢ بِرَبِّهِۦ فَلَا یَخَافُ بَخۡسࣰا وَلَا رَهَقࣰا ﴿13﴾
'আর আমরা যখন পথনির্দেশ শুনেছি আমরা তাতে বিশ্বাস করেছি। সুতরাং যে কেউ তার প্রভুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, সে তবে আশংকা করবে না কমে যাওয়ার অথবা লাঞ্ছনা পাবার,
وَأَنَّا مِنَّا ٱلۡمُسۡلِمُونَ وَمِنَّا ٱلۡقَـٰسِطُونَۖ فَمَنۡ أَسۡلَمَ فَأُو۟لَـٰۤىِٕكَ تَحَرَّوۡا۟ رَشَدࣰا ﴿14﴾
''আর আমাদের মধ্যের কেউ-কেউ অবশ্য মুসলিম আর আমাদের অন্যেরা সীমালংঘনকারী। সুতরাং যারা আত্মসমর্পণ করেছে তারাই তবে সুষ্ঠুপথের সন্ধান খোঁজেছে।
وَأَمَّا ٱلۡقَـٰسِطُونَ فَكَانُوا۟ لِجَهَنَّمَ حَطَبࣰا ﴿15﴾
'আর সীমালংঘনকারীদের ক্ষেত্রে -- তারা তো জাহান্নামেরই ইন্ধন হয়েছে।’”
وَأَلَّوِ ٱسۡتَقَـٰمُوا۟ عَلَى ٱلطَّرِیقَةِ لَأَسۡقَیۡنَـٰهُم مَّاۤءً غَدَقࣰا ﴿16﴾
আর এই যে যদি তারা নির্দেশিত পথে কায়েম থাকত তবে আমরা অবশ্যই তাদের প্রচুর পানি দিয়ে সমৃদ্ধ করতাম;
لِّنَفۡتِنَهُمۡ فِیهِۚ وَمَن یُعۡرِضۡ عَن ذِكۡرِ رَبِّهِۦ یَسۡلُكۡهُ عَذَابࣰا صَعَدࣰا ﴿17﴾
যেন আমরা তাদের পরীক্ষা করতে পারি তার দ্বারা। আর যে কেউ তার প্রভুর স্মরণ থেকে ফিরে থাকে, তিনি তাকে ঢুকিয়ে দেবেন চিরবর্ধমান শাস্তিতে।
وَأَنَّ ٱلۡمَسَـٰجِدَ لِلَّهِ فَلَا تَدۡعُوا۟ مَعَ ٱللَّهِ أَحَدࣰا ﴿18﴾
আর এই যে মসজিদগুলো হচ্ছে আল্লাহ্র জন্য, সুতরাং তোমরা আল্লাহ্র সঙ্গে আর কাউকেও ডেকো না।
وَأَنَّهُۥ لَمَّا قَامَ عَبۡدُ ٱللَّهِ یَدۡعُوهُ كَادُوا۟ یَكُونُونَ عَلَیۡهِ لِبَدࣰا ﴿19﴾
আর এই যে যখন আল্লাহ্র বান্দা তাঁকে আহ্বান করতে দাঁড়িয়েছিলেন তখন তারা চেয়েছিল তাঁর চারিদিকে ভিড় করতে।
قُلۡ إِنَّمَاۤ أَدۡعُوا۟ رَبِّی وَلَاۤ أُشۡرِكُ بِهِۦۤ أَحَدࣰا ﴿20﴾
বলো -- ''নিঃসন্দেহ আমি আমার প্রভুকেই ডাকি, আর আমি তাঁর সঙ্গে কাউকেও শরিক করি না।’’
قُلۡ إِنِّی لَاۤ أَمۡلِكُ لَكُمۡ ضَرࣰّا وَلَا رَشَدࣰا ﴿21﴾
তুমি বলো -- ''আমি কোনো কর্তৃত্ব করি না তোমাদের উপরে আঘাত হানার অথবা উপকার করার।’’
قُلۡ إِنِّی لَن یُجِیرَنِی مِنَ ٱللَّهِ أَحَدࣱ وَلَنۡ أَجِدَ مِن دُونِهِۦ مُلۡتَحَدًا ﴿22﴾
তুমি বলে যাও -- ''নিশ্চয়ই কেউ আমাকে কখনো রক্ষা করতে পারবে না আল্লাহ্ থেকে, আর তাঁকে বাদ দিয়ে আমি কখনো কোনো আশ্রয়ও পাব না, --
إِلَّا بَلَـٰغࣰا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِسَـٰلَـٰتِهِۦۚ وَمَن یَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَإِنَّ لَهُۥ نَارَ جَهَنَّمَ خَـٰلِدِینَ فِیهَاۤ أَبَدًا ﴿23﴾
শুধু আল্লাহ্ থেকে পৌঁছে দেওয়া, আর তাঁর বাণীসমূহ।’’ আর যে আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের অবাধ্যতা করে, তার জন্য তবে নিশ্চয়ই রয়েছে জাহান্নামের আগুন, তাতে তারা থাকবে দীর্ঘকাল।
حَتَّىٰۤ إِذَا رَأَوۡا۟ مَا یُوعَدُونَ فَسَیَعۡلَمُونَ مَنۡ أَضۡعَفُ نَاصِرࣰا وَأَقَلُّ عَدَدࣰا ﴿24﴾
যে পর্যন্ত না তারা দেখতে পায় যা তাদের ওয়াদা করা হয়েছিল, তখন তারা সঙ্গে-সঙ্গে জানতে পারবে কে সাহায্যলাভের ক্ষেত্রে দুর্বলতর, আর সংখ্যার দিক দিয়ে অল্প।
قُلۡ إِنۡ أَدۡرِیۤ أَقَرِیبࣱ مَّا تُوعَدُونَ أَمۡ یَجۡعَلُ لَهُۥ رَبِّیۤ أَمَدًا ﴿25﴾
বলো -- ''আমি জানি না তোমাদের যা ওয়াদা করা হয়েছে তা আসন্ন, না আমার প্রভু তার জন্য কোনো দীর্ঘমিয়াদ স্থির করবেন।’’
عَـٰلِمُ ٱلۡغَیۡبِ فَلَا یُظۡهِرُ عَلَىٰ غَیۡبِهِۦۤ أَحَدًا ﴿26﴾
তিনি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তাই কারো কাছে তিনি তাঁর রহস্য প্রকাশ করেন না, --
إِلَّا مَنِ ٱرۡتَضَىٰ مِن رَّسُولࣲ فَإِنَّهُۥ یَسۡلُكُ مِنۢ بَیۡنِ یَدَیۡهِ وَمِنۡ خَلۡفِهِۦ رَصَدࣰا ﴿27﴾
রসূলের মধ্যে যাঁকে তিনি মনোনয়ন করেছেন তাঁকে ব্যতীত, সেজন্য নিশ্চয় তিনি তাঁর সামনে ও তাঁর পেছনে প্রহরী নিয়োজিত করেন,
لِّیَعۡلَمَ أَن قَدۡ أَبۡلَغُوا۟ رِسَـٰلَـٰتِ رَبِّهِمۡ وَأَحَاطَ بِمَا لَدَیۡهِمۡ وَأَحۡصَىٰ كُلَّ شَیۡءٍ عَدَدَۢا ﴿28﴾
যেন তিনি জানতে পারেন যে তাঁরা তাঁদের প্রভুর বাণীসমূহ পৌঁছে দিয়েছেন কি না, আর তিনি ঘিরে আছেন তাঁদের কাছের সব- কিছু, আর তিনি সব-কিছুর হিসাব রাখেন গোনে-গোনে।