Main pages

Surah The emissaries [Al-Mursalat] in Bengali

Surah The emissaries [Al-Mursalat] Ayah 50 Location Makkah Number 77

وَٱلۡمُرۡسَلَـٰتِ عُرۡفࣰا ﴿1﴾

কল্যাণের জন্যে প্রেরিত বায়ুর শপথ,

জহুরুল হক

ভাবো প্রেরিতপুরুষগণের কথা -- একের পর এক,

فَٱلۡعَـٰصِفَـٰتِ عَصۡفࣰا ﴿2﴾

সজোরে প্রবাহিত ঝটিকার শপথ,

জহুরুল হক

আর ভাবো ঝড়ের মতো আসা দমকা হাওয়ার কথা,

وَٱلنَّـٰشِرَ ٰ⁠تِ نَشۡرࣰا ﴿3﴾

মেঘবিস্তৃতকারী বায়ুর শপথ

জহুরুল হক

আর ভাবো যারা ছড়াচ্ছে ছড়ানোর মতো,

فَٱلۡفَـٰرِقَـٰتِ فَرۡقࣰا ﴿4﴾

মেঘপুঞ্জ বিতরণকারী বায়ুর শপথ এবং

জহুরুল হক

তারপর আলাদা করে দেয় আলাদা করণে,

فَٱلۡمُلۡقِیَـٰتِ ذِكۡرًا ﴿5﴾

ওহী নিয়ে অবতরণকারী ফেরেশতাগণের শপথ-

জহুরুল হক

তারপর গেথে দেঁয় স্মারক গ্রন্থ, --

عُذۡرًا أَوۡ نُذۡرًا ﴿6﴾

ওযর-আপত্তির অবকাশ না রাখার জন্যে অথবা সতর্ক করার জন্যে।

জহুরুল হক

পরিশোধিত করতে অথবা সতর্ক করতে।

إِنَّمَا تُوعَدُونَ لَوَ ٰ⁠قِعࣱ ﴿7﴾

নিশ্চয়ই তোমাদেরকে প্রদত্ত ওয়াদা বাস্তবায়িত হবে।

জহুরুল হক

নিশ্চয় তোমাদের যা ওয়াদা করা হয়েছে তা অবশ্যই ঘটতে যাচ্ছে।

فَإِذَا ٱلنُّجُومُ طُمِسَتۡ ﴿8﴾

অতঃপর যখন নক্ষত্রসমুহ নির্বাপিত হবে,

জহুরুল হক

সুতরাং যখন তারাগুলো ঝিমিয়ে পড়বে।

وَإِذَا ٱلسَّمَاۤءُ فُرِجَتۡ ﴿9﴾

যখন আকাশ ছিদ্রযুক্ত হবে,

জহুরুল হক

আর যখন আকাশ ভেঙ্গে পড়বে,

وَإِذَا ٱلۡجِبَالُ نُسِفَتۡ ﴿10﴾

যখন পর্বতমালাকে উড়িয়ে দেয়া হবে এবং

জহুরুল হক

আর যখন পাহাড়গুলোকে উড়িয়ে দেওয়া হবে,

وَإِذَا ٱلرُّسُلُ أُقِّتَتۡ ﴿11﴾

যখন রসূলগণের একত্রিত হওয়ার সময় নিরূপিত হবে,

জহুরুল হক

আর যখন রসূলগণকে নির্ধারিত সময়ে নিয়ে আসা হবে --

لِأَیِّ یَوۡمٍ أُجِّلَتۡ ﴿12﴾

এসব বিষয় কোন দিবসের জন্যে স্থগিত রাখা হয়েছে?

জহুরুল হক

কোন সে দিনের জন্য ধার্য রাখা হয়েছে?

لِیَوۡمِ ٱلۡفَصۡلِ ﴿13﴾

বিচার দিবসের জন্য।

জহুরুল হক

ফয়সালার দিনের জন্য।

وَمَاۤ أَدۡرَىٰكَ مَا یَوۡمُ ٱلۡفَصۡلِ ﴿14﴾

আপনি জানেন বিচার দিবস কি?

জহুরুল হক

আর কী তোমাকে বুঝতে দেবে ফয়সালার দিনটি কি?

وَیۡلࣱ یَوۡمَىِٕذࣲ لِّلۡمُكَذِّبِینَ ﴿15﴾

সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।

জহুরুল হক

ধিক্ সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য!

أَلَمۡ نُهۡلِكِ ٱلۡأَوَّلِینَ ﴿16﴾

আমি কি পূর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করিনি?

জহুরুল হক

আমরা কি পূর্ববর্তীদের নিধন করি নি?

ثُمَّ نُتۡبِعُهُمُ ٱلۡـَٔاخِرِینَ ﴿17﴾

অতঃপর তাদের পশ্চাতে প্রেরণ করব পরবর্তীদেরকে।

জহুরুল হক

তারপর পরবর্তীদেরও আমরা তাদের অনুগমন করাব।

كَذَ ٰ⁠لِكَ نَفۡعَلُ بِٱلۡمُجۡرِمِینَ ﴿18﴾

অপরাধীদের সাথে আমি এরূপই করে থাকি।

জহুরুল হক

এইভাবেই আমরা অপরাধীদের প্রতি আচরণ করে থাকি।

وَیۡلࣱ یَوۡمَىِٕذࣲ لِّلۡمُكَذِّبِینَ ﴿19﴾

সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।

জহুরুল হক

ধিক সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি!

أَلَمۡ نَخۡلُقكُّم مِّن مَّاۤءࣲ مَّهِینࣲ ﴿20﴾

আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি থেকে সৃষ্টি করিনি?

জহুরুল হক

তোমাদের কি আমরা সৃষ্টি করি নি এক তুচ্ছ জলীয় পদার্থ থেকে?

فَجَعَلۡنَـٰهُ فِی قَرَارࣲ مَّكِینٍ ﴿21﴾

অতঃপর আমি তা রেখেছি এক সংরক্ষিত আধারে,

জহুরুল হক

তারপর আমরা তা স্থাপন করি এক সুরক্ষিত স্থানে, --

إِلَىٰ قَدَرࣲ مَّعۡلُومࣲ ﴿22﴾

এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত,

জহুরুল হক

এক অবহিত পরিমাপ পর্যন্ত;

فَقَدَرۡنَا فَنِعۡمَ ٱلۡقَـٰدِرُونَ ﴿23﴾

অতঃপর আমি পরিমিত আকারে সৃষ্টি করেছি, আমি কত সক্ষম স্রষ্টা?

জহুরুল হক

তারপর আমরা বিন্যস্ত করি, সুতরাং কত নিপুণ বিন্যাসকারী আমরা!

وَیۡلࣱ یَوۡمَىِٕذࣲ لِّلۡمُكَذِّبِینَ ﴿24﴾

সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।

জহুরুল হক

ধিক্ সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি!

أَلَمۡ نَجۡعَلِ ٱلۡأَرۡضَ كِفَاتًا ﴿25﴾

আমি কি পৃথিবীকে সৃষ্টি করিনি ধারণকারিণীরূপে,

জহুরুল হক

আমরা কি পৃথিবীটাকে বানাই নি আধাররূপে --

أَحۡیَاۤءࣰ وَأَمۡوَ ٰ⁠تࣰا ﴿26﴾

জীবিত ও মৃতদেরকে?

জহুরুল হক

জীবিত ও মৃত, --

وَجَعَلۡنَا فِیهَا رَوَ ٰ⁠سِیَ شَـٰمِخَـٰتࣲ وَأَسۡقَیۡنَـٰكُم مَّاۤءࣰ فُرَاتࣰا ﴿27﴾

আমি তাতে স্থাপন করেছি মজবুত সুউচ্চ পর্বতমালা এবং পান করিয়েছি তোমাদেরকে তৃষ্ণা নিবারণকারী সুপেয় পানি।

জহুরুল হক

আর তাতেই তো আমরা বানিয়েছি উঁচু পাহাড়-পর্বত, আর তোমাদের পান করতে দিয়েছি সুপেয় পানি?

وَیۡلࣱ یَوۡمَىِٕذࣲ لِّلۡمُكَذِّبِینَ ﴿28﴾

সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।

জহুরুল হক

ধিক সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি!

ٱنطَلِقُوۤا۟ إِلَىٰ مَا كُنتُم بِهِۦ تُكَذِّبُونَ ﴿29﴾

চল তোমরা তারই দিকে, যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে।

জহুরুল হক

''তোমরা চলো তারই দিকে যাকে তোমরা অস্বীকার করতে, --

ٱنطَلِقُوۤا۟ إِلَىٰ ظِلࣲّ ذِی ثَلَـٰثِ شُعَبࣲ ﴿30﴾

চল তোমরা তিন কুন্ডলীবিশিষ্ট ছায়ার দিকে,

জহুরুল হক

''চলো সেই ছায়ার দিকে যার রয়েছে তিনটি স্তর, --

لَّا ظَلِیلࣲ وَلَا یُغۡنِی مِنَ ٱللَّهَبِ ﴿31﴾

যে ছায়া সুনিবিড় নয় এবং অগ্নির উত্তাপ থেকে রক্ষা করে না।

জহুরুল হক

''যা ছায়াময় নয় এবং অগ্নিশিখা থেকে রক্ষা করার মতোও নয়।

إِنَّهَا تَرۡمِی بِشَرَرࣲ كَٱلۡقَصۡرِ ﴿32﴾

এটা অট্টালিকা সদৃশ বৃহৎ স্ফুলিংগ নিক্ষেপ করবে।

জহুরুল হক

''নিঃসন্দেহ এটি স্ফুলিঙ্গ তোলে অট্টালিকার আকারে,

كَأَنَّهُۥ جِمَـٰلَتࣱ صُفۡرࣱ ﴿33﴾

যেন সে পীতবর্ণ উষ্ট্রশ্রেণী।

জহুরুল হক

''যেন সেগুলো হলুদবরণ উটের পাল।’’

وَیۡلࣱ یَوۡمَىِٕذࣲ لِّلۡمُكَذِّبِینَ ﴿34﴾

সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।

জহুরুল হক

ধিক্ সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি!

هَـٰذَا یَوۡمُ لَا یَنطِقُونَ ﴿35﴾

এটা এমন দিন, যেদিন কেউ কথা বলবে না।

জহুরুল হক

এ হচ্ছে ঐ দিন যেদিন তারা কোনো কথা বলতে পারবে না,

وَلَا یُؤۡذَنُ لَهُمۡ فَیَعۡتَذِرُونَ ﴿36﴾

এবং কাউকে তওবা করার অনুমতি দেয়া হবে না।

জহুরুল হক

আর তাদের অনুমতি দেওয়া হবে না যেন তারা অজুহাত দেখাতে পারে।

وَیۡلࣱ یَوۡمَىِٕذࣲ لِّلۡمُكَذِّبِینَ ﴿37﴾

সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।

জহুরুল হক

ধিক্ সেইদিন সত্যপ্রত্যাখানকারীদের প্রতি!

هَـٰذَا یَوۡمُ ٱلۡفَصۡلِۖ جَمَعۡنَـٰكُمۡ وَٱلۡأَوَّلِینَ ﴿38﴾

এটা বিচার দিবস, আমি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে একত্রিত করেছি।

জহুরুল হক

এই হচ্ছে ফয়সালা করার দিন, আমরা তোমাদের সমবেত করেছি, আর পূর্ববর্তীদেরও।

فَإِن كَانَ لَكُمۡ كَیۡدࣱ فَكِیدُونِ ﴿39﴾

অতএব, তোমাদের কোন অপকৌশল থাকলে তা প্রয়োগ কর আমার কাছে।

জহুরুল হক

সুতরাং তোমাদের যদি কোনো কলাকৌশল থাকে তাহলে আমার বিরুদ্ধে অপকৌশল চালাও।

وَیۡلࣱ یَوۡمَىِٕذࣲ لِّلۡمُكَذِّبِینَ ﴿40﴾

সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।

জহুরুল হক

ধিক্ সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি!

إِنَّ ٱلۡمُتَّقِینَ فِی ظِلَـٰلࣲ وَعُیُونࣲ ﴿41﴾

নিশ্চয় খোদাভীরুরা থাকবে ছায়ায় এবং প্রস্রবণসমূহে-

জহুরুল হক

নিশ্চয় ধর্মভীরুরা থাকবে স্নিগ্ধছায়ায় ও ফোয়ারাগুলোতে,

وَفَوَ ٰ⁠كِهَ مِمَّا یَشۡتَهُونَ ﴿42﴾

এবং তাদের বাঞ্ছিত ফল-মূলের মধ্যে।

জহুরুল হক

আর ফলফসলের মধ্যে যা তারা পেতে চায়।

كُلُوا۟ وَٱشۡرَبُوا۟ هَنِیۤـَٔۢا بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ ﴿43﴾

বলা হবেঃ তোমরা যা করতে তার বিনিময়ে তৃপ্তির সাথে পানাহার কর।

জহুরুল হক

''খাও আর পিয়ো মহানন্দে যা তোমরা করে চলেছিলে সেজন্য।’’

إِنَّا كَذَ ٰ⁠لِكَ نَجۡزِی ٱلۡمُحۡسِنِینَ ﴿44﴾

এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।

জহুরুল হক

নিঃসন্দেহ এইভাবেই আমরা প্রতিদান দিই সৎকর্মশীলদের।

وَیۡلࣱ یَوۡمَىِٕذࣲ لِّلۡمُكَذِّبِینَ ﴿45﴾

সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।

জহুরুল হক

ধিক্ সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি!

كُلُوا۟ وَتَمَتَّعُوا۟ قَلِیلًا إِنَّكُم مُّجۡرِمُونَ ﴿46﴾

কাফেরগণ, তোমরা কিছুদিন খেয়ে নাও এবং ভোগ করে নাও। তোমরা তো অপরাধী।

জহুরুল হক

খাও-দাও আর ভোগ করে নাও অল্পকালের জন্য -- তোমরা তো অপরাধী!’’

وَیۡلࣱ یَوۡمَىِٕذࣲ لِّلۡمُكَذِّبِینَ ﴿47﴾

সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।

জহুরুল হক

ধিক্ সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি!

وَإِذَا قِیلَ لَهُمُ ٱرۡكَعُوا۟ لَا یَرۡكَعُونَ ﴿48﴾

যখন তাদেরকে বলা হয়, নত হও, তখন তারা নত হয় না।

জহুরুল হক

আর যখন তাদের বলা হয় ''নত হও’’, তারা নত হয় না।

وَیۡلࣱ یَوۡمَىِٕذࣲ لِّلۡمُكَذِّبِینَ ﴿49﴾

সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।

জহুরুল হক

ধিক্ সেইদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি!

فَبِأَیِّ حَدِیثِۭ بَعۡدَهُۥ یُؤۡمِنُونَ ﴿50﴾

এখন কোন কথায় তারা এরপর বিশ্বাস স্থাপন করবে?

জহুরুল হক

অতএব এর পরে আর কোন বাণীতে তারা বিশ্বাস করবে?